রিজার্ভ চুরিতে উত্তর কোরিয়া জড়িত

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)। সংস্থাটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, ২০১৪ সালের সনির হলিউড স্টুডিও এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে পিয়ংইয়ং (উত্তর কোরিয়ার রাজধানী) জড়িত ছিল। গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আসপেন ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এক গোলটেবিলে এ দাবি করেন এনএসএর উপপরিচালক রিক লেজেট। সাইবার তৎপরতা ও নজরদারিতে জড়িত যুক্তরাষ্ট্রের এ সংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফরেন পলিসিতে এ খবর দেওয়া হয়েছে। ওই গোলটেবিলে রিক লেজেট নিশ্চিত করেছেন,
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির পেছনে উত্তর কোরিয়ার কম্পিউটার হ্যাকার জড়িত ছিল। আসপেন ইনস্টিটিউটের আলোচনায় রিক লেজেট আরও বলেন, ২০১৪ সালের সনির হলিউড স্টুডিও ও বাংলাদেশ উভয় ঘটনায় পিয়ংইয়ংয়ের জড়িত থাকার খোঁজ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। তাঁর মতে, যদি সনির স্টুডিও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরির ঘটনায় উত্তর কোরিয়া জড়িত থাকার তথ্য সত্যি হয়, তাহলে প্রমাণ হচ্ছে একটি রাষ্ট্র ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত। এটা একটা বড় ঘটনা। এ সময় গোলটেবিল সঞ্চালক এনএসএ সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন কারলির প্রশ্ন তুলেন, তুমি কি বিশ্বাস করো, একটি রাষ্ট্র ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ছে? এ সময় লেজেট ‘হ্যাঁ’সূচক জবাব দেন। এর আগে ব্লুমবার্গের এক খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় তিনটি হ্যাকার গ্রুপের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি হ্যাকার গ্রুপকে শনাক্ত করা গেছে। যার একটি পাকিস্তানের, অপরটি উত্তর কোরিয়ার। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে, আর ২ কোটি ডলার যায় শ্রীলঙ্কায়। এ অর্থের কিছু অংশ ফেরত এসেছে।

No comments

Powered by Blogger.