অন্তঃসত্ত্বা দুই জাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা

বাড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার সরাইপাড়ার পশ্চিম ঝর্নাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই অন্তঃসত্ত্বা নারী আহত হয়েছেন। দুজন পরস্পর জা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে। আহত নারীরা হলেন জহিরুল হকের স্ত্রী ফয়েজুন্নেছা (২৮) ও জহিরুলের ভাই ফজলুল হকের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (২৪)। পারিবারিক সূত্র জানায়, ফয়েজুন্নেছা সাত মাসের ও জান্নাতুল তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের কপাল ও পায়ে ব্যান্ডেজ লাগানো দেখা গেছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ৪০-৪৫ জন সন্ত্রাসী হঠাৎ আমাদের বাসায় হামলা চালায়। তাদের হাতে ছিল দা, ছোরা ও রড। হামলার সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য ছিলেন না। কিছু বুঝে ওঠার আগে সন্ত্রাসীরা আমাদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং পেটে ও বুকে কিল,
ঘুষি ও লাথি মারে। পরে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’ জান্নাতুল বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে মামুন ও মাহবুব নামের দুজনকে তাঁরা চিনতে পেরেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মো. জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই নারীকে কোপানো হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, তাঁদের পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ বিষয়ে আমরা বলতে পারব।’ জান্নাতুলের স্বামী ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সেমিপাকা ঘরটি দখলের জন্য একটি চক্র তৎপর। কয়েক সপ্তাহ আগেও বাড়িটি দখলের চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা ব্যর্থ হয়। আজ বিকেলে (বুধবার) আবার বাড়ি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ভাবিকে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং কিল-ঘুষি-লাথি মারে।’ ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মহিউদ্দিন জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁরা সাতজনকে আটক করেছেন। তিনি বলেন, বাড়িটি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে বলে তাঁরা শুনেছেন।

No comments

Powered by Blogger.