আত্মহত্যাকারীদের পছন্দের জঙ্গল! by ইমরান আলী

সি অব ট্রি। গাছের সাগর। জাপানের মাউন্ট ফুজি বনের উত্তর পশ্চিম অঞ্চল জুড়ে গড়ে ওঠা এই বন। আয়তন প্রায় ৩৫ কিমি। পর্যটকদের তালিকায় স্থান পাওয়া জায়গা। অন্যদিকে ভৌতিক জায়গা হিসেবে উল্লেখ আছে জাপানের পৌরাণিক কাহিনীতেও। শুধুই কি তাই ! মানুষ বেঁচে থাকার জন্য নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে বেড়ায়। অথচ এই বনটিকে মানুষ বেঁচে নেয় শুধুমাত্র আত্মহত্যা করা জন্য! জাপানের এই বনটিকে ঘিরে রহস্যের শেষ নেই। এই বনে গাছের সাথে প্রায়শই মানুষের মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়। কোথাও বিচ্ছিন্ন হাত পা, কোথাও ব্যবহৃত জুতা সেন্ডেল, জামাকাপড়। এই বনটিকে ঘিরে জাপান সরকারের নজরদারির শেষ নেই। গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এই জায়গাটিকে। তবুও এখানে মানুষ আসে আত্মহত্যা করতে। বিশ্লেষকরা ভাবেন- এই বনের নির্জনতাই আত্মহত্যাকারিদেরকে বেশী আকৃষ্ট করে। যারা ব্যক্তিজীবনে হতাশায় ভুগেন, নানান ঝামেলায় জীবন টালমাতাল তারা জীবনের শেষ মুহূর্তটিকে এখানেই শেষ করেন। ছমছমে এ জায়গায় যেতে ভয় পান কমবেশী সব জাপানিজ। ২০০২ সালে জাপান সরকার ৭৮টি মরদেহ পেয়েছিল এই বন থেকে। ২০০৩ সালে পেয়েছিলো শতাধিক। ২০১০ সালে ২৫৪ জন আত্মহত্যার চেস্টা করেছিল। ৫৪ জনের লাশ পাওয়া গিয়েছিল। আত্মহত্যা থামাতে সেখানকার প্রশাসনের কড়া নজরদারিতো আছেই। সে সঙ্গে মানুষ যেন এই জায়গাকে বেছে না নেয় সেজন্য নানান কৌশলও অবলম্বন করে তারা। বনের কিছুদূর পর পর গাছের সাথে সেটে দিয়েছে ছোট ছোট ব্যানার। যাতে লেখা আছে – জীবন মূল্যবান, Life is precious thing! please reconsider! অথবা Think your family। এতকিছুর পরও থেমে আছে কি আত্মহত্যা ! প্রতি বছরের মার্চ এর দিকে নাকি এ জঙ্গলে পরে থাকতে দেখা মরা মানুষের নিথর দেহ।

No comments

Powered by Blogger.