মোদির বুদ্ধিতেই ওবামার আমন্ত্রণ

এদিকে ভারত সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি যৌথ রেডিও ভাষণ দিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ওয়াশিংটন পোস্টে ওবামার সঙ্গে যৌথ কলাম লিখেছিলেন মোদি। এই এক্সক্লুসিভ ধারা অব্যাহত রাখতে চান দুই নেতা। খবর দ্য ইকোনোমিক টাইমসের। যুক্তরাষ্ট্রের রেডিওতে প্রেসিডেন্ট একটি সাপ্তাহিক ভাষণ দিয়ে থাকেন।
অন্যদিকে ভারতে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রেডিওতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান করে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন ২৫ জানুয়ারি বারাক ওবামা ভারতে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই সফরে তার স্ত্রী মিশেল ওবামা ও দুই মেয়ে শাসা ও মালিয়াকেও নিয়ে আসবেন। দুই মেয়েকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর আগে ১৯৯৫ সালে ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটন তার মেয়ে চেলসিয়াকে নিয়ে সফরে এসেছিলেন। দ্য ইকোনোমিক টাইমস। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপস্থিতির আইডিয়া দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। একজন কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রথমে এই আইডিয়া তার ক্লোজ গ্র“পকে শেয়ার করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত এস জয় শংকরের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড মহরার গুরুত্ব বোঝানোর পর হোয়াইট হাউস এতে সম্মত হয়।
আসছে এয়ার ফোর্স-১ আকাশপথে আতংক!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ভারত সফরের সময়ে দেশটিতে হামলা চালাবে জঙ্গিরা। সফরের আগ মুহূর্তের এমন হুমকিতে রীতিমতো আতংকে রয়েছে ভারতের প্রশাসন। স্থলপথ, নৌপথ ছাপিয়ে আকাশপথেও জেঁকে বসেছে সে ‘আতংক’। স্থলে ১৬০০০ নিরাপত্তা বাহিনীর মতো আকাশপথেও নেয়া হয়েছে নজিরবিহীন ‘সতর্কতা’। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বহনকারী ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’ বিমানটি ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশে ভিভিআইপি প্রটোকল দেয়া হবে। থেমে যাবে ভারতের সব বিমান চলাচল। ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিমানের মতোই নিরাপত্তার ছায়া বিছানো হবে আকাশপথে। বারাক ওবামা তার সুরক্ষিত বিমানে চড়ে ভারতে পৌঁছালেও নিয়ে আসছেন না তার ব্যক্তিগত ‘দ্য বিস্ট’ গাড়িটি। জেনে নেয়া যাক ওবামাকে বহনকারী বিমানটি কেমন। বোয়িং ৭৪৭-২০০ বা জাম্বু জেট বিমানটির আয়তন ৪০০০ বর্গফুট। বিমানের মধ্যেই রয়েছে অত্যাধুনিক সম্মেলন কক্ষ।
প্রেসিডেন্টের অফিস, ব্যক্তিগত কেবিন, মেডিকেল কেবিনসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের জন্যও রয়েছে কক্ষ। বিমানের খাদ্য গ্যালারি থেকে যে কোনো সময় ১০০ লোকের খাবার সরবরাহ করতে পারে। এয়ারফোর্স ওয়ানের রয়েছে নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ঠেকিয়ে দিতে পারে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত। মধ্য আকাশে বৈরী আবহাওয়াতেও সঠিক পথেই উড়তে পারে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের যোগাযোগের জন্য রয়েছে মোবাইল কমান্ড সেন্টার। ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশের সময় ও রুট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কারও কাছে থাকছে না। কেবল বিশেষ বাহিনী এটা জানবে এবং এয়ারফোর্স ওয়ানের সুবিধা মতো অন্য বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে। ভারতের বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করবে।’ এনডিটিভি।

No comments

Powered by Blogger.