পাকিস্তানে কফিন বিক্রি বেড়েছে!

পাকিস্তানে গত ১০ বছরে কফিন বিক্রি বেড়েছে। ক্রমাগত জঙ্গিহানায় বিধ্বস্ত হচ্ছে পাকিস্তান। প্রাণ যাচ্ছে একের পর এক নিরীহ মানুষের। বিক্রি বাড়ছে কফিনের। যে কোনো হামলায় মৃতের সংখ্যা বাড়লেই, তাদেরও ব্যবসা বাড়ে। একটা সময় ওই ব্যবসায়ীরা কার্যত মাছি তাড়াতেন। কিন্তু গত ১০ বছরে অবস্থা এমন পর্যায়ে উঠেছে যে, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ঘাটতি দেখা দেয়ার জোগার! ইসলামী রীতি অনুযায়ী দাফনে কফিনের ব্যবহার নেই। কিন্তু এলোপাতাড়ি গুলি,
আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বা আইইডি হামলার মতো জঙ্গি নাশকতায় মৃত্যু হলে মৃতদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ খুঁজে এক জায়গায় জড়ো করে রাখতে কফিনকেই বেছে নেয়া হয়। হঠাৎ রোজগার বেড়ে যাওয়া পেশোয়ারের কফিন ব্যবসায়ী জেহানজেব খানের কথায়, ‘আমি ৮০-র দশকে যখন কফিন ব্যবসা শুরু করেছিলাম, তখন দিনে হয়তো খুব বেশি হলে দুটি বা তিনটি কফিন বিক্রি হতো। মূলত আফগান রিফিউজিরাই কফিন কিনতেন। প্রিয়জনের দেহ অনেক দূরে আদিবাসী গ্রামে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ব্যবসাটি হঠাৎ বাড়ে ২০০৪ সাল থেকে। তারপর থেকে দিনে ১৫টির বেশি কফিন বিক্রি হচ্ছে।’ এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.