এটা দলীয় চেষ্টার সুফল

জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয়বার ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। গতকাল  পাঁচ উইকেটে জয় নিয়ে ৫-০তে সিরিজ নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। আর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মনে করেন এটা দলীয় নৈপুণ্যের ফসল। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে জয় শেষে সিরিজের ট্রফি হাতে  সংবাদ সম্মেলনে হাজির বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘পাড়া-মহল্লার কোন দলের সঙ্গে খেললেও কেউ বলতে পারবে না যে, সবগুলো ম্যাচ জিতবে। এটা দলীয় প্রচেষ্টার ফসল। আমি দলের প্রত্যেককে ধন্যবাদ দিতে চাই। সবাই মিলে প্রচ- পরিশ্রম করেছি আমরা। আর কষ্ট ও পরিশ্রমের কারণেই এমন সাফল্য দেখলাম। দলের প্রত্যেকে নিজ নিজ  দায়িত্ব পালন করেছে যথাযথ। দেখেন তাইজুল এক ম্যাচের জন্য দলে এসেছিল। কিন্তু বল হাতে তার নৈপুণ্যটা দেখেন। হ্যাটট্রিকটা তার ভাল  বল করারই পুরস্কার।’ সিরিজে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ও  বোলিং নৈপুণ্যে সমান সন্তুষ্ট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এবার দলের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংটাও ছিল অসাধারণ। বেশ কয়েকটি ম্যাচে বোলাররাই জিতিয়েছে। বিশেষ করে শেষ ওয়ানডেতে মাত্র ১২৮ রানে গুঁড়িয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। সিরিজে   স্পিনারদের পাশাপাশি বেশ ছন্দে ছিলেন পেসাররাও।  অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘স্পিনার আসলে সব সময়ই ভাল করে। তারা ম্যাচ জেতায়।  স্পিনারদের উপরই আমাদের ভরসা। তবে আমার মনে হয় এখন পেসারদের উপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে। কারণ স্পিনারদের পাশাপাশি পেসাররা ভাল না করলে ম্যাচ কঠিন হয়ে যায়। আগের তুলনায় চলতি বছর আমাদের বোলারদের পারফরমেন্স বেশ ভাল।’ সদ্য সিরিজে পেস তারকা  মাশরাফি বিন মর্তুজার  নৈপুণ্যটা আলোকিত। বল হাতে ইনিংসের শুরুতে দলকে সাফল্য এনে দিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন মাশরাফি-ই। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পেস খেলা অনেক কঠিন। কারণ এখানে উইকেটে অসমান (আনইভেন) বাউন্স থাকে। কখন বল উপরে উঠবে বা নিচু হয়ে আসবে তা  বোঝা যায় না। সেই দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া বা অন্য দেশের বাউন্সি উইকেটে ব্যাট হাতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে পেসের বিপক্ষে খেলাটা কঠিন হয় না। কারণ ওদের ওখানে আনইভেন বাউন্স কম থাকে। আমি বলবো এখানে পেসারদের ব্যাক-আপ দিলে তারা আরও ভাল করবে।’ অধিনায়ক হিসেবে এর আগে মাশরাফি দুইবার সিরিজের মাঝপথে দায়িত্ব ছাড়েন ইনজুরির কারণে। এবারও ছিল তেমন শঙ্কা। মাশরাফি  বলেন, ‘আমি ভাবিনি সিরিজ শেষ করতে পারবো। ভাল খেলার চেষ্টা করেছি। আর ইনজুরির বিষয়টিতো বলা যায় না। এটি কারও হাতে থাকে না।’ আগামী ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বসছে ২০১৫’র বিশ্বকাপ। মাশরাফি বলেন, ‘চলতি বছরের  শুরু থেকেই খারাপ করছিলাম আমরা। বিশ্বকাপের আগে সাফল্যের ধারায় ফেরার প্রয়োজন ছিল। তবে ১২৮ রান তাড়া করতে গিয়ে এভাবে উইকেট দেয়া ঠিক হলো না। আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সামনে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ।

No comments

Powered by Blogger.