পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সম্মেলনে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সম্মেলন। এ ধরনের সম্মেলনে এই প্রথম যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ১৫০টির বেশি দেশের প্রায় ৮০০ প্রতিনিধি। বিভিন্ন দেশের হাতে থাকা ১৬ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র থেকে সৃষ্ট ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরবেন তাঁরা। খবর এএফপির। এর আগে গত বছর নরওয়েতে এবং এ বছরের মার্চে মেক্সিকোতে পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সম্মেলনে যায়নি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ দুটি দেশসহ বিশ্বের নয়টি দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই নয়টি দেশের মধ্যে থাকা পাকিস্তান ও ভারতও ভিয়েনা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। তবে রাশিয়া, ফ্রান্স ও চীন যোগ দেয়নি। অবশ্য চীনা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সম্মেলনে উপস্থিত আছেন বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন। এর বাইরে যারা সম্মেলনে যায়নি, তাদের মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল। উত্তর কোরিয়া এরই মধ্যে তিনটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে।
আর ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ মনে করা হয়ে থাকে, যদিও দেশটি এখন পর্যন্ত তা স্বীকার করেনি। দুই দিনের ভিয়েনা সম্মেলনে পারমাণবিক বিস্ফোরণের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণাম, পারমাণবিক পরীক্ষার প্রভাব এবং দুর্ঘটনাবশত পারমাণবিক বিস্ফোরণের ঝুঁকির বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। এ ছাড়া আলোচিত পারমাণবিক অস্ত্রবিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আগামী বছরের মে মাসে সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ওই সম্মেলন সামনে রেখে বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা কমিয়ে আনার ব্যাপারে চাপ দিতে ভিয়েনা সম্মেলন কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আয়োজকেরা মনে করছেন। আয়োজক দেশ অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান কার্জ বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এর ব্যবহারের প্রকৃত ঝুঁকি রয়েছে, তা স্বেচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক। এমন একটা পরিস্থিতিতে এই বিশ্বে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকেই।... তবে এই পরিস্থিতিতে কেউই জয়ী হবে না। এগুলো আর ব্যবহার করা হবে না, সে জন্য আমাদের সামষ্টিক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সবার জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সেটা করতেই হবে।’

No comments

Powered by Blogger.