সিইসি বললেন জানুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই

আগামী জানুয়ারিতে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্বাচনের ব্যাপারে ভাবতে বলেছিলেন। এ সংক্রান্ত খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গতকাল সিইসি এ কথা জানান। তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। একদিন বাদে নিজের কার্যালয়ে আকস্মিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, জানুয়ারিতে এ নির্বাচন কেন করবো? আমাকে সময় দিতে হবে। তফসিল ঘোষণার জন্যও প্রস্তুতির দরকার রয়েছে। ২০০২ সালের এপ্রিলে ভোটের পর ২০০৭ সালের মে মাসে অবিভক্ত ডিসিসির নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সময় দু’বার নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হলেও বিভিন্ন জটিলতায় সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এরপর ২০১১ সালের ৩০শে নভেম্বরে ৫৬টি ওয়ার্ড নিয়ে দক্ষিণ ও ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তর নামে দুই ভাগ হয় ডিসিসি। দু’ভাগ করার পর এ পর্যন্ত পঞ্চম দফা অনির্বাচিত প্রশাসক দিয়ে চলছে ডিসিসি। মেয়াদোত্তীর্ণ ডিসিসি দুই ভাগের নির্বাচন অনুষ্ঠানে উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে সীমানা জটিলতা থাকলেও আগে থেকে ইসির প্রস্তুতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। কাজী রকিব বলেন, এ কথা খুব পরিষ্কার- আমরা অনেক আগে থেকে রেডি। কিন্তু দক্ষিণে যেমন সীমানা বাড়াতে চাইছে, তেমনি উত্তরেও বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। এখনও উপরের চাপ থাকলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দ্রুত সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে দিয়ে আমাদের অনুরোধ জানাতে পারে। ঢাকা সিটির দক্ষিণ ভাগে সুলতানগঞ্জের একাংশ ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে যুক্ত হওয়ার কথা। দক্ষিণ ভাগে উত্তরা ১১ থেকে ১৪ নম্বর সেক্টরের একাংশ ও দক্ষিণগাঁও এলাকার একটি মৌজা ঢাকা দক্ষিণ ভাগে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাব রয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকার দুই প্রশাসকের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে আগামী বছরের প্রথম দিকে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

No comments

Powered by Blogger.