বিদেশে পড়তে না দেয়ায় পিতার বিরুদ্ধে মামলা

বিদেশে পড়ার অনুমতি না দেয়ায় পিতার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন সৌদি আরবের এক যুবতী। দেশটির আদালত এখন মামলাটি পর্যবেক্ষণ করছে। মক্কার ওই যুবতীর অভিযোগ, বিদেশে বৃত্তি পাওয়ার পরও তাকে তার পিতা পড়াশোনা শেষ করতে দিচ্ছেন না। কেননা, নিজের বৃত্তির ভাতা তিনি পিতাকে দিতে রাজি হননি। তাই, তিনি এখন যে দেশে পড়াশোনা করছেন, সে দেশে ফিরে যেতে দিচ্ছেন না তার পিতা। এ খবর দিয়েছে সৌদি গেজেট। আদালতের কাছে তিনি আরও বলেন, তার পিতা তার কাছ থেকে বারবার বৃত্তির অর্থ চাইলেও তিনি দিতে রাজি হননি। যখন পিতা বুঝতে পারলেন, বৃত্তির অর্থ তাকে দেবে না তার মেয়ে, তখন তিনি মেয়ের বাড়ি ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মেয়ে বাড়িতে আসা মাত্রই তাকে আর কোথাও যেতে দিতে রাজি হচ্ছেন না তিনি। মেয়েটির দাবি, তার পিতা মাদকাসক্ত। এমন কি তার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ডও রয়েছে। তবে এ ধরনের মামলা প্রায়ই করা হয় আদালতে। সাধারণত, এসব মামলা জটিল প্রকৃতির হয়ে থাকে। এ মামলায় তার পিতা আদালতের কাছে যৌক্তিক কারণ দেখান নি, ঠিক কেন তিনি তার মেয়েকে উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে ফিরে যেতে দিচ্ছেন না। আদালত ওই পিতার আচরণ পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তার দাবি সঠিক কিনা তা যাচাই করছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে অসপষ্ট রয়েছেন আদালত। আইনজীবী রশিদ আল আমরো বলেন, শরিয়া আইন অনুসারে সন্তানের ক্ষতি হতে পারে, এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার পিতা-মাতাকে দেয়া হয় নি। নারী ও পুরুষ- প্রত্যেক নাগরিকের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরনের কোন কাজ পিতা-মাতা করে থাকেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে সন্তান মামলা করতে পারে বলেও জানান তিনি। যদি এ ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আদালতকে এড়িয়ে চলেন পিতামাতা, তবে আদালত ওই সন্তানের অভিভাবকত্ব অন্য কারও কাছে ন্যস্ত করবেন। অন্যথায় আদালত নিজেই অভিভাবক হয়ে তাকে পড়াশোনা করার অনুমতি দেবেন।

No comments

Powered by Blogger.