সাত খুনের অভিেযাগপত্র দিতে বললেন আদালত

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্ত করছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল। এ ঘটনায় র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার ২৪ জনকে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় নিয়মিত হাজিরার অংশ হিসেবে আজ সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় খুনের ঘটনার সাত মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার অভিযোগপত্র না দেওয়ার বিষয়টি আদালতে তোলা হলে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এইচ এম শফিকুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা আদালতে বলেছি, সাতজনকে অপহরণের পর খুনের ঘটনার সাত মাস অতিবাহিত হলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এখনো আদালতে অভিযোগপত্র দেয়নি। আমরা আদালতে এই বিষয়ে আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত আগামী ২২ জানুয়ারি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
সাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ করেন, মামলার আসামিদের মধ্যে র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠ কয়েক সহযোগীকে হাতকড়া পরানো ছাড়াই পুলিশ আদালতে হাজির করেছে। অন্য আসামিদের হাতকড়া পরানো ছিল। এ ব্যাপারে তিনি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নির্দেশনা প্রার্থনা করেন। আদালত আগামী ২২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন বলে তিনি জানান।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাই বিজয় কুমার পাল একই থানায় আলাদা একটি হত্যা মামলা করেন।
সাত খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জন র‌্যাব সদস্যসহ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন র‌্যাব সদস্যসহ ১৩ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর নয়জন র‌্যাব সদস্যসহ মোট ১৪ জন আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.