বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ যাদের জন্য নিষিদ্ধ

রাজনৈতিক দল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা বৈদেশিক কোন অনুদান নিতে পারবেন না। এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ২০ ধারায় তালিকাভুক্ত কোন ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন সংগঠন অনুদান গ্রহণে অনুপযোগী। এসব বিষয় যুক্ত করে বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন ২০১৪-এর খসড়া প্রস্তাবটি আজ মন্ত্রিসভা বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া কোন বেসরকারি সংস্থা বৈদেশিক অনুদানে কোন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারবে না। একই সঙ্গে কোন এনজিও, এনজিও ব্যুরোর নিবন্ধন ছাড়া কার্যক্রম চালাতে পারবে না। ব্যক্তি পর্যায়ে বৈদেশিক সাহায্য নিতে হলেও এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন নিতে হবে। এতে অর্থপ্রাপ্তির উৎস এবং কি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা উল্লেখ করতে হবে। আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি হিসেবে সতর্ক করা হবে। নিবন্ধন বাতিল ও জরিমানাও করা হতে পারে। প্রস্তাবিত আইনে নিবন্ধন ও নবায়ন সম্পর্কে বলা হয়েছে, নিবন্ধন আবেদনে বৈদেশিক অনুদানের পরিমাণ, প্রাপ্তির উৎস ও ব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। প্রতি ১০ বছর পর পর নবায়ন করতে হবে। বৈদেশিক অনুদানের হিসাব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বৈদেশিক অনুদানের অর্থ একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে গ্রহণ ও ছাড়ের বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বছরে দু’বার বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং ইআরডিতে পাঠাতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.