হাঙরের মুখ থেকে যেভাবে বাঁচল ম্যাট

চোখের সামনেই বন্ধু জে মাসকাটের পায়ে কামড় দিল হাঙর। এবার এটা ফিরল অপর কিশোর ম্যাট পুলেলার দিকে। একটুও দেরি না করে স্পিয়ার-গান থেকে বর্শা ছুড়ে দিল সে। বর্শাটা গিয়ে বিঁধল হাঙরের গলায়। বেশ বড় শ্বেত হাঙর এটা। বর্শা নিয়েই পালিয়ে গেল। এতে ম্যাট প্রাণে বাঁচলেও জীবন গেল তার বন্ধু জের। এএফপির খবরে জানানো হয়, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে গলায় বর্শা বেঁধা ওই খুনে হাঙরটাকে ঘায়েল করতে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে, চেনিস সৈকতের সাগরজলে। গতকাল সোমবার দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, ম্যাট ও জে (১৭) মাছ ধরার সময় ওই হাঙরের মুখে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ম্যাট পুলেলা জানায়, হাঙরটি প্রথমে আঘাত করে। পরে বন্ধু জের পায়ে কামড় দেয়। পরে বর্শার আঘাতে ভেগে যায়। হাঙরটি ১৩ থেকে ১৬ ফুট লম্বা হবে বলে ধারণা ম্যাটের। নিজের অভিজ্ঞতাকে ভয়ংকর বলে উল্লেখ করে ম্যাট পুলেলা বলে, এ রকম বীভৎস্য ঘটনা আগে কেউ দেখেনি। অস্ট্রেলিয়ার মৎস্য বিভাগ জানায়, চেনিস সৈকতটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাঙরটি ধরার জন্য নৌকাগুলোকে তৈরি রাখা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখা হয়েছে। মৎস্য বিভাগের মুখপাত্র রিক ফ্লেচার অস্ট্রেলিয়ার ব্রডকাস্টিং কো অপারেশনকে জানান, আহত হাঙরটি শিকারে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এর আগে গত অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের দক্ষিণ উপকূলে দুটি শ্বেত হাঙরের হামলায় এক তরুণ আহত হন। তিনি একজন সার্ফার ছিলেন। সাগরের বিভিন্ন ধরনের খেলা জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় হাঙরের হামলার ঘটনা বেড়েছে।

No comments

Powered by Blogger.