১৩ বছরে গড়াল ইরান ছয় জাতি আলোচনা

বিশ্বের ছয় ক্ষমতাধর দেশ ও ইরানের মধ্যকার পরমাণু আলোচনা ২০১৫ সালে গড়াল। গত এক যুগ ধরে উত্তেজনা বৃদ্ধি ও নানা আলোচনার মধ্যে সর্বশেষ ডেডলাইন শেষ হয় সোমবার মধ্য রাতে। এবার তা ১৩ বছরে পড়ল। সময়সীমা পুনরায় বাড়িয়ে আগামী বছরের মধ্য জুলাইয়ে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরমাণু আলোচনায় সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা এসব কথা জানান। খবর আল জাজিরার। কূটনীতিকরা নির্ধারিত সময়সীমা সোমবার গ্রিনিচমান ২৩টার আগে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ভিয়েনায় শেষবারের মতো চেষ্টা চালিয়ে যান। একজন পশ্চিমা কূটনীতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু অনেক বিষয় আছে যেগুলো নিজেদের সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। আগামী বছর আমরা আবার বসবো। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দুই পক্ষ একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় আসবে। এরপর মধ্য জুলাইকে সময়সীমা ধরে তার আগেই চূড়ান্ত চুক্তি করা হবে। কূটনীতিকরা জানান, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে এর আগে যে মতপার্থক্য ছিল তা এখনও রয়েছে। ফলে ভিয়েনা বৈঠকে চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে ঐকমত্য হতে পারে।
জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের পাঁচ সদস্য যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি চায়, জাতিসংঘ আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জবাবে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি কাটছাঁট করুক। পশ্চিমাদের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচির আড়ালে আণবিক বোমা তৈরি করছে। তবে ইরান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তেহরানের দাবি, তারা বেসামরিক কাজে পারমাণবিক কর্মসূচি চালাচ্ছে। এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন, এই মুহূর্তে আমরা একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার শেষ চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি জানিয়েছিলেন, অবশ্য চুক্তিতে উপনীত হতে না পারলে, তখন আমরা কোন দিকে যাব তা নিয়ে আলোচনা হবে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.