লতিফের ফেরার ব্যাপারে অবগত ছিল সরকার

সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যেকোন মূহর্তে দেশে ফিরবেন তা সরকারের জানা ছিল। বিষয়টি একটি গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিশেষ প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছিল। এতে লতিফ সিদ্দিকী ইস্যুতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে পুলিশ প্রধানকে চিঠি লিখা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এ চিঠি পুলিশ সদর দপ্তরে আসে গত ৯ই নভেম্বর। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার আজ এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওদিকে, একটি সূত্রে জানা গেছে, লতিফ সিদ্দিকী ইস্যু নিয়ে সোমবার আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী একটি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
গত ২৮শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক আলোচনা সভায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.), হজ এবং তাবলীগ জামায়াত নিয়ে কটুক্তি করেন লতিফ সিদ্দিকী। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন তিনি। লতিফ সিদ্দিকীর এ মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠে সব মহল থেকে। প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিস্কার করেন। পরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম এবং সাধারণ সদস্য পদ থেকেও তাকে বহিস্কার করা হয়। যদিও সংসদ সদস্য হিসেবে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। কলকাতায় অবস্থান রত লতিফ সিদ্দিকী এক পর্যায়ে দেশে ফিরতে চাইলেও তাকে দেশে আসলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে একাধিক সরকারি নীতিনির্ধারক হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। লতিফ সিদ্দিকী ইস্যু যখন মিইয়ে যাওয়ার পথে তখন রোববার দিবাগত রাতে ঢাকায় ফিরেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.