খুলনায় শ্রমিক ভোট টানার চেষ্টা, লিটন-বুলবুলের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে- সিটি নির্বাচন

খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রধান দুই জোটের মেয়রপ্রার্থীরা শিল্প শ্রমিকদের ভোট পক্ষে নেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনে শ্রমিকদের ভোট প্রার্থীদের জন্য বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। রাসিক নির্বাচনে দুই মেয়রপ্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন ও মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে মাঠে নেমেছেন দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। নগরীর ৮নং ওয়ার্ডে ইভিএমে পরীক্ষামূলকভাবে ভোট নেয়া হয়েছে। এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। সিলেটে নির্বাচন ঘিরে মানুষের কৌতূহল ক্রমশ বাড়ছে। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় প্রচারের মাত্রাও বেড়ে গেছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিরামহীন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বরিশালে শওকত হোসেন হিরণের পক্ষে মাঠে নেমেছেন সাবেক চীফ হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। হাসনাত মাঠে নামার পর কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বলে দাবি করেছেন হিরণের সমর্থকরা। এদিকে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের মেয়রপ্রার্থী আহসান হাবিব কামাল রবিবার ২২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
খুলনার খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের ৬ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৭৪ হাজার ১১৩ জন। এর অর্ধেকেরও বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক। এ ছাড়া রূপসা শিল্পাঞ্চলে ১০ হাজারের মতো শ্রমিক রয়েছেন।
আসন্ন কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে শিল্পাঞ্চলের বিপুলসংখ্যক শ্রমিককে ভোট প্রার্থীদের জন্য বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করা হচ্ছে। যে কারণে শ্রমিক ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে প্রধান দুই জোটের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও মোঃ মনিরুজ্জামান মনি যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে শ্রমিকরা দ্বিধাগ্রস্ত। ভোট দিতে হবে, কাকে দেবেন সে ব্যাপারে তাঁরা কিছুই ভেবে উঠতে পারছেন না। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একের পর এক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। মহাজোট সরকার জুট মিলগুলো চালু করেছে। তবে নিউজপ্রিন্ট চালু হয়নি, হার্ডবোর্ড মিল বন্ধ। আবার রূপসা শিল্পাঞ্চলে দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি এখনও চালু হয়নি। স্থানীয় নির্বাচন অরাজনৈতিক হলেও যেহেতু রাজনৈতিক দলের নেতারাই মেয়র পদপ্রার্থী, এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই শ্রমিকরা এখনও দোদুল্যমান। দুই মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও মনিরুজ্জামান মনি শ্রমিকদের ভোট পেতে নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তাঁরা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। এ লক্ষ্যে তিনি নির্বাচনী আইন ও আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ নির্বাচন কর্মকা-ে জড়িত সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে তিনি মিডিয়া কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরও জানান, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রেই ভোট গণনা করা হবে এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ভোট যোগ করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কেসিসি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এখানকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের কোন পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত সৃষ্টি হয়নি।
তিনি রবিবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন-২০১৩ উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগের জবাবে ও প্রশ্নোত্তরে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, খুলনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ১৫টি টিম সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করছে। নির্বাচনে ভোট প্রদানের জন্য ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন নেই। প্রথম অবস্থায় তৈরি ভোটার আইডি কার্ড ও কার্ডের ছবি ভবিষ্যতে ভাল করার চেষ্টা চলছে।
মতবিনিময়সভায় কেসিসি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন মেয়রপ্রার্থী, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি কর্মকর্তা, গণমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাসিক নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে এখন প্রচারে উত্তাল রাজশাহী। আর মাত্র চারদিন পরেই ভোট। শেষ সময়ে এসে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা মাঠে নেমেছে আটঘাট বেঁধে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ভোটারদের কাছে টানতে টাকা ছড়ানোর কৌশল। প্রধান দুই দলের দুই প্রার্থীর হয়ে কেন্দ্রীয় নেতারাও ভোটের মাঠে নেমেছেন। প্রার্থীদের জেতাতে পুরোপুরি ক্যাম্পিং করছেন তাঁরা। এরই মধ্যে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগও উঠেছে।
রবিবার নাগরিক কমিটির প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামাল লিটনের তালা প্রতীকের পক্ষে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু। তিনি নিজে দলীয় নেতাকার্মীদের নিয়ে গণসংযোগে নামেন। দলের সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ স্বপন শনিবার সভা করেছেন লিটনের পক্ষে। ওইদিন রাজশাহীর বাগমারাবাসীর ব্যানারে তিনি সভা করে রাজশাহীর উন্নয়নে আবারও লিটনকে মেয়র করার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া রাজশাহীর বিভিন্ন আসনের সাংসদরা রয়েছেন রাজশাহীতেই। তারাও সমানে প্রচারে নেমেছেন লিটনের পক্ষে।
এদিকে সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কয়েকদিন ধরেই রাজশাহী অবস্থান নিয়ে বুলবুলের পক্ষে আনারস মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক হারুনার রশিদ, সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া। রবিবার বিকেলে রাজশাহীর বগুড়াবাসীর ব্যানারে রাজশাহীতে এসে বুলবুলকে সমর্থন দেন বিএনপি নেতা ভিপি সাইফুল।
রাজশাহীতে বিগত সময়ে নামকতামূলক কর্মকা-ে জড়িত বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন লিটনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। তবে রাজশাহী মহানগর পুলিশ বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ইভিএমে ‘ট্রায়াল’ ভোটে ব্যাপক সাড়া ॥ রাজশাহী নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের সচেতন করতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে পরীক্ষামূলক ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে আসা ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। সকালে প্রথম দিকে কিছুটা সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে ভোটারদের মধ্যে ইভিএম ভীতি কেটে যাচ্ছে।
টাকা বিলির সময় আটক ১ ॥ নগরীতে ভোটারদের টাকা দিয়ে প্রলুব্ধ করার সময় এক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। শনিবার রাতে নগরীর শাহ মখদুম থানার ভাড়ালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তির নাম আর্থীয় কর্মকার।
ওসি জানান, আর্থীয় কর্মকারকে আটকের পর ঘটনাটি রিটার্নিং অফিসারকে জানানো হয়। সন্ধ্যায় থানায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান। তবে কেউ সাক্ষী না দেয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সিলেট সিটি নির্বাচনকে ঘিরে কৌতূহল ক্রমশ বাড়ছে। কেউ বলছেন পরিবর্তন হোক, কেউ বলছেন যা আছে তাই থাক। কী কারণে পরিবর্তন। কী আসবে পরিবর্তনে? পরিবর্তন প্রত্যাশী অনেকের কাছেই এই নিয়ে সুস্পষ্ট কোন ধারণা নেই। যেমন ছিল তেমনি থাক। এমন বক্তব্যের লোকরা বলছেন কামরান ভাল কতটুকু করেছে সেটা দেখার পাশাপাশি খারাপ কতটুকু করেছে সেটাও দেখার বিগত সময়ে আরিফ নগরীর উন্নয়ন কাজ করেছেন। ভাগাভাগির খেলায় কামরান আরিফের ভাগ্য এখন পেন্ডুলামের মতো ঝুলছে।
ভিন্ন কথা বলছেন পরিবর্তন প্রত্যাশীরা। তাঁরা বলছেন কামরান দীর্ঘদিন তো ক্ষমতায় ছিলেন এখন নতুন অন্য কাউকে ক্ষমতায় দিয়ে দেখি কী হয়। নতুন ব্যক্তি আরিফুল হক চৌধুরীর যোগ্যতা রয়েছে। তাঁর পক্ষে নগরীর উন্নয়ন করা সম্ভব।
কামরানের গণসংযোগ ॥ নাগরিক কমিটির মেয়রপ্রার্থী রবিবার সিলেট নগরীর সুবিদবাজার, বন কলাপাড়া, নূরানী আবাসিক এলাকা, হাজীপাড়া, দাঁড়িয়াপাড়া ও মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
আরিফুল হক চৌধুরীর গণসংযোগ ॥ সম্মিলিত নাগরিক জোটের মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী রবিবার মহানগরীর ১৯, ২০ ও ২১নং ওয়ার্ডের পূর্ব শাহী ঈদগাহ, লামাপাড়া, লাকড়িপাড়া, মজুমদারপাড়া, সোনারপাড়া, উপশহর মেইন রোড এলাকাসহ শিবগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে গণংসযোগ করেন। এছাড়া তিনি শাহী ঈদগাহের টিবি গেট, শিবগঞ্জ, সোনাপাড়ায় পথসভায় বক্তব্য দেন।
টিবি গেটে এক পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী মোশারফ হোসেন। তিনি সিলেট নগরীর কাক্সিক্ষত উন্নয়নের লক্ষ্যে আরিফুল হক চৌধুরীকে ভোট দেয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সরাফত আলী শপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল বারি বাবু প্রমুখ।
সম্মিলিত ক্রীড়াজোটের গণসংযোগ ॥ রবিবার মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর (টেলিভিশন) সমর্থনে নগরীর দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন স্থানে সম্মিলিত ক্রীড়াজোটের উদ্যোগে গণসংযোগ করেন সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি দিলদার হোসেন সেলিম। এ সময় ক্রীড়াজোটের শতাধিক নেতাকর্মী তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
নির্বাচন এখন লাভজনক ব্যবসা ॥ নির্বাচন এখন লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, উন্নয়নকর্মী এবং সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। শনিবার সিলেট অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের দেয়া প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মৌরবিবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র দাবি ॥ ২৫নং ওয়ার্ডের মোমিনখলা, মুছারগাঁও, বারোখলা, দাউদপুর ও কায়স্তরাইল এলাকার ভোটাররা মৌরবিবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছে। এলাকাবাসীর এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের এ দাবি তুলে ধরেন।
ইভিএম ডামি ভোট গ্রহণ ॥ সিলেট নগরীর ২নং ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলক ইভিএম পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে। এর জন্য রবিবার থেকে এই ওয়ার্ডের ৩টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ডামি ভোটগ্রহণ। সোমবার ওয়ার্ডের সব স্থানে ভ্রাম্যমাণ ডামি ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। চলবে ১৪ জুন শুক্রবার পর্যন্ত।
বরিশালে জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ মহাজোট সমর্থিত সম্মিলিত নাগরিক কমিটির মেয়র পদপ্রার্থী আলহাজ শওকত হোসেন হিরণের টেলিভিশন মার্কার পক্ষে শনিবার থেকে গণসংযোগে নেমেছেন। নির্বাচনী মাঠে তিনি গণসংযোগের নামার পর পরই পাল্টে গেছে পুরো নগরীর দৃশ্যপট। সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। হাসানাত আব্দুল্লাহ গণসংযোগে নামার পর টেলিভিশনের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রতিপক্ষের মেয়রপ্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। রবিবারও দিনভর নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়রপ্রার্থী আলহাজ শওকত হোসেন হিরণ, আব্দুর রহমান-এমপি, এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস-এমপি, আব্দুল্লাহ আল জ্যাকব-এমপি, নুর নবী শাওন-এমপি প্রমুখ।
কামালের ২২ দফা ইশতেহার ঘোষণা ॥ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের মেয়র পদপ্রার্থী আহসান হাবিব কামাল রবিবার ২২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আসন্ন নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে বরিশালকে বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ইশতেহারে তুলে ধরা হয়। রবিবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় কামাল তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বরিশালে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পুলিশ বিভাগে রদবদল ও সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার-এমপির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মেয়রপ্রার্থী আহসান হাবিব কামাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিউদ্দিন আহমেদ-বীর বিক্রম, বেগম সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান রাজন, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবায়েদুল হক চাঁন প্রমুখ।
বিএমপির উপকমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি ॥ বিসিসির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য বরিশাল মেট্রো পলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (সদর) শোয়েব আহমেদকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মেয়র পদপ্রার্থী আলহাজ শওকত হোসেন হিরণ। শনিবার রাতে রিটার্নিং অফিসার মোঃ মুজিবুর রহমান জানান, উপপুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহারের জন্য মহাজোট সমর্থিত সম্মিলিত নাগরিক কমিটির মেয়র পদপ্রার্থী শওকত হোসেন হিরণের নির্বাচনী এজেন্ট এ্যাডভোকেট কেবিএস আহমেদ কবির লিখিত আবেদন করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.