ঈদে মেঘের ফেসবুকে সবার ভালোবাসা by কাজী মুস্তাফিজ

নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘের ফেসবুকে আশ্বাসের জোয়ার বইছে। বাবা-মা’র পুরো আদরে সময়টা পার হওয়ার আগেই তাদের হারিয়েছে মেঘ। পুরো পৃথিবীর বিণিময়েও যে শূন্যতা পুরণ হবার নয়, এই ঈদে সেটিই পুরণ করতে যেন এতো আশ্বাস সবার।

চিকিৎসা বিষয়ক বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা লিখেছেন, “জানি মেঘ, এই শুন্যতা কখনই পুরণ হবে না। তারপরও দোয়া রইলো, তুমি যেন নানুমনি, মামা, খালামনি, দাদুমিনি, ফুপি আর তোমার ছোট্ট রিহিম বোনটিকে নিয়ে আনন্দে এই ঈদ পালন করতে পার। আল্লাহ যেন আমাদের মেঘবাবুকে এই শক্তি দেয়। অনেক আদর রইলো...।”
আরেকজন লিখেছেন, “মেঘকে এই নির্মম সত্যটা মেনে নিয়ে বাকি জীবনটা পার করতে হবে। আল্লাহ যেন তাকে সেই সাহস ও শক্তি দেয়, এই দোয়া করি।”

এক ঈদে বাবার সঙ্গে মেঘের পাঞ্জাবী পরা একটি ছবিতে দেশটিভি’র একজন লিখেছেন, “ঈদ আসবে, ঈদ যাবে। এই মায়াময় দৃশ্য মেঘের জীবনে আর আসবে না, হায়!”

একইসঙ্গে বন্ধ নেই প্রতিবাদও। ফ্রান্স থেকে একজন লিখেছেন, “ঈদের ছবি যতো দেখি ততো বেশি কষ্ট পাই, বুকটা ফেটে যেতে চায়। দেশে অনেক পুরোনো-কঠিন-কঠিন মামলার অগ্রগতি হয়, বিচার হয়। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যা মামলা? দায়িত্বশীলদের প্রতি ধিক্কার জানাই।”

এছাড়াও রয়েছে, ‘দুঃখ অনুভব করছি’, ‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি’, ‘চোখে জল এসে যায়’ এমন শত শত আবেগ জড়ানো কমেন্ট।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতের কোনো এক সময় ঘাতকদের নৃশংস থাবায় এতিম হয়ে যায় মেঘ। পরের দিন রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসা থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সাগর-রুনির রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সাংবাদিকরাও সোচ্চার হয়েছেন। বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি করছেন তারা। ঈদের পর আরো কঠোর আন্দোলন করবেন সাংবাদিক নেতারা।

একাকী মেঘ এখন নানির কাছেই থাকছে। এখনো খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে ফেইসবুক ও ব্লগ সাইটগুলোতে। প্রশ্ন ওঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত খুনিরা কি পার পেয়ে যাবে?

No comments

Powered by Blogger.