মেহেদির নকশায় ঈদের আমেজ by রয়া মুনতাসীর

নতুন পোশাক। বাহারি জুতা। হাল ফ্যাশনের ব্যাগ। তালিকা ধরে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা শেষ। কয়েকটা দিন এখন শুধুই অপেক্ষা। তবে শেষ আয়োজনটা এখনো বাকি—মন ভরে মেহেদি লাগানো। আগের মতো ঘটা করে সবাই একসঙ্গে হাতে মেহেদি লাগানো এখন হয়তো আর হয় না, কিন্তু শত ব্যস্ততার মধ্যেও মেহেদি লাগানো চাই।


কারণ, রাঙা হাত ছাড়া ঈদের আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়।

এবারের নকশা
শিল-পাটায় বেটে হাতে মেহেদি দেওয়ার চল এখন নেই বললেই চলে। হাতে পুরো লেপে, গোল করে কিংবা চাঁদের নকশা এখন আর হয় না। টিউব মেহেদিই এখন ভরসা। চিকন থেকে মোটা—সব ধরনের নকশা ফুটিয়ে তোলা যায় এর মাধ্যমে। তবে এবারের ঈদে কালো মেহেদির প্রতি আকর্ষণ কমে গেছে অনেকটাই। মেহেদির লাল রং এবার ভরিয়ে তুলবে সবার মন। রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান জানান, গতবারের মতো চিকন স্ট্রিং টেনে দেওয়ার বদলে এবার হাত ভরে মেহেদি লাগাতেই পছন্দ করছে সবাই। কলকির নকশাটা এবার বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মেহেদি বাই শঙ্খ—সায়মা ফেয়রুজ ফেসবুকের এ পাতায় নিজের করা আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় মেহেদির নকশা দেখিয়ে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদে মেহেদি লাগানোর প্রতি আকর্ষণ সব সময়ই ছিল। সবাই এখন শৈল্পিকভাবে মেহেদির নকশা ফুটিয়ে তুলতে চায়। এবার আধুনিক নকশার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী আলপনার ডিজাইন চলবে। হাতের চুড়ি পরার জায়গায় ব্যান্ডের মতো করে মেহেদি লাগানো অনেকে পছন্দ করছেন। তবে যেটাই হোক না কেন, নকশা অনেক সূক্ষ্ম ও ছড়ানো হবে।’

গাঢ় রং পেতে
সবার হাতে একই রকম রং হয় না। কারণ হিসেবে হাতের ত্বকের পার্থক্যের কথা বললেন সায়মা ফেয়রুজ। যাদের হাতের ত্বক মোটা, মেহেদির রং তাঁদের হাতে তুলনামূলক বেশি হয়। পাতলা ত্বক যাঁদের, তাঁরা অনেকক্ষণ রাখলেও মেহেদির রং ততটা গাঢ় হয় না।
হাতে যতক্ষণ মেহেদি রাখবেন, ততক্ষণই রং হতে থাকবে। সবচেয়ে ভালো হয় সব কাজ শেষ করে লাগালে। সারা রাত হাতে রাখতে পারলে রং হবে দেখার মতো। অসুবিধা না হলে মেহেদি শুকিয়ে যাওয়ার পরও ফেলবেন না; বরং লেবুর রসের সঙ্গে বেশি পরিমাণে চিনি মিশিয়ে হাতে লাগান। তবে সেটা মেহেদি শুকিয়ে গেলে লাগাতে হবে। এ ছাড়া চুলার অল্প আগুনে হালকা ভাপ নিতে পারেন। এতে রং গাঢ় হয়।

No comments

Powered by Blogger.