মিসরের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় ইসরায়েল

মিসরে ইসরায়েলি দূতাবাসে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার পরও দেশটির সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখতে চায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের পরিবেশমন্ত্রী গিলাদ এরদান গতকাল রোববার এ কথা জানান।
ইসরায়েলের আচরণে মিসরের জনগণের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটে গত শুক্রবার। হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলের দূতাবাসে হামলা চালায়। সেখানে আটকে পড়া ছয়জন নিরাপত্তারক্ষীকে উদ্ধার করে মিসরের কমান্ডো বাহিনী। ইসরায়েলে ফিরে যায় রাষ্ট্রদূতসহ অন্য কর্মকর্তারা। হামলার সময় জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও কমপক্ষে এক হাজার মানুষ আহত হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পরিবেশমন্ত্রী গিলাদ এরদান গতকাল দেশটির সরকারি বেতারে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমরা সব কিছুই করব। বর্তমান পরিস্থিতিতে মিসর কর্তৃপক্ষের যা করা উচিত, তারা তাই করেছে। মিসরের কমান্ডো বাহিনী হামলার সময় দূতাবাসে আটকে পড়া ছয়জন নিরাপত্তারক্ষীকে উদ্ধার করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাটান ভিলনাই দেশটির সামরিক বাহিনীর বেতারে গতকাল বলেন, ‘দুই দেশের স্বার্থেই পারস্পরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হবে। যদিও বিষয়টি খুব সহজ নয়।’ তিনি বলেন, দেরিতে হলেও মিসরের কমান্ডো বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। তা না হলে রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটত।
গত শনিবারই মিসরের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতি জোর দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘আমরা মিসরের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করার অঙ্গীকার করছি। ইসরায়েল ও মিসরের স্বার্থেই এটা প্রয়োজন।’
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভ থাকলেও মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের সময় তা প্রকাশ করতে পারত না মিসরের জনগণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে গত শুক্রবার। তার পরও মিসরের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে চাইবে ইসরায়েল। কারণ, আরব বিশ্বের দুটি মাত্র দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি চুক্তি রয়েছে। এর একটি হলো মিসর। অন্যটি জর্ডান। এর আগে গাজায় ত্রাণবাহী জাহাজের বহর ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে ইসরায়েলের। তাই মিসরের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখার নীতিই নেবে ইসরায়েল।

No comments

Powered by Blogger.