দক্ষিণ আফ্রিকাকেই এগিয়ে রাখছেন স্টিভ ওয়াহ

১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ-যাত্রা শুরু করার পর থেকে বারবার দুর্ভাগ্যই সঙ্গী হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথমবারই তারা চলে গিয়েছিল ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু বৃষ্টি আইনের জটিল কিছু মারপ্যাঁচের ফাঁদে পড়ে সেবার আর সেমিফাইনালের গণ্ডিটা পেরোতে পারেনি। ১৯৯৯ সালের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিখ্যাত সেই টাই ম্যাচটার কথা তো এখনো ভুলতে পারেনি ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেবারও দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়টা ছিল মহা-ট্র্যাজিক। গত বিশ্বকাপে আবারও সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল প্রোটিয়ারা। এরপর থেকেই ‘চোকার্স’ অভিধাটা তাদের গায়ে জড়িয়ে গেছে বেশ ভালোভাবেই। সব সময়ই মোটামুটি ধারাবাহিক পারফরমেন্স থাকলেও কখনোই ‘ফেবারিট’ বলে ডাকা হয় না দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার বা সমর্থকদের এ ব্যাপারটা নিশ্চয়ই খুব কষ্ট দেয়। তবে এবার এটা তাদের জন্য শাপে বর হয়েছে বলে মনে করছেন স্টিভ ওয়াহ। খুব বেশি আলোচনায় না থাকা বা ফেভারিট তকমা না থাকার ফলে তারা অনেক ভারমুক্ত হয়ে খেলতে পারবে বলে মত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। হিন্দুস্তান টাইমসের এক কলামে স্টিভ ওয়াহ লিখেছেন, ‘শেষ আটের প্রতিটি দলই গ্রুপ পর্বে অন্তত একটি করে ম্যাচ হেরেছে। কাজেই কোনো দলকেই আলাদাভাবে এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। তার পরও যদি কারও নাম বলতে হয়, তাহলে আমি দক্ষিণ আফ্রিকার কথাই বলব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটাতেই তারা শুধু কিছু ভুল করেছিল। তারপর থেকে তাদের একটা পদক্ষেপেও ভুল হয়নি। আলোচনার বাইরে থাকা বা ফেবারিট তকমা না থাকায় তারা অনেক লাভবানও হয়েছে। তাদের ওপর প্রত্যাশার চাপও অনেক কম। আর তারা সব ক্ষেত্রেই খুব ভালো পারফরমেন্স দেখিয়েছে।’
উপমহাদেশের স্পিনার-বান্ধব কন্ডিশনে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন আক্রমণটা খুবই শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেছেন স্টিভ ওয়াহ। বলেছেন, ‘উপমহাদেশের কন্ডিশনে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রদর্শনটা দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ ভালোমতোই করেছে। স্পিন আক্রমণটা তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। ইমরান তাহির ও রবিন পিটারসেন খুব ভালো বোলিং করছে।’

No comments

Powered by Blogger.