আলোচনা- প্রশাসনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি by ধীরাজ কুমার নাথ

রকারের আদর্শগত অবস্থান ও গৃহীত নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়ন জনপ্রশাসনে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আচরণ ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের সদিচ্ছার উপর নির্ভর করে। এ ছাড়াও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তাদেরকে অনেক বেশি দেশাত্মবোধ ও জনগণের সেবায় উন্নত মানসিকতার পরিচয় দিতে হয় প্রতিটি পদক্ষেপে এবং প্রত্যেক কর্মকান্ডে।
ভূমি প্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করেন তারা খাস জমি বিতরণ করার প্রাক্কালে সামান্য সততার পরিচয় দিলে শুধু অসহায় গরীব ও বঞ্চিত মানুষ তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন তা নয় , দারিদ্র্য বিমোচনের যে লক্ষ্যে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল , লক্ষ লক্ষ জীবন শহীদ হয়েছিল, পাকিস্তানী দস্যু ও তাদের দোসরদের সীমাহীন অত্যাচারের শিকার হয়েছিল কিছুটা হলেও তার উপশম হবে। স্বাধীনতার সংগ্রাম অর্থবহ হবে। তেমনি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবায় নিয়োজিত সেবাদানকারীগণ অথবা শিক্ষাখাতে কর্মরত কর্মীরা যদি ভালোবাসা দিয়ে মেধা ও মননের সংযোগ সাধন করে জ্ঞান বিস্তারে অথবা দুস্থ মানুষের চিকিৎসায় আত্মনিবেদন করে তবে অবশ্যই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস জনপ্রশাসনের উপর বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং দেশে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের একটি বাতাবরণ তৈরি হবে। আর তখনেই মানুষ দুনীর্তির কথা ভাববে না , সমাজে শিষ্টাচারের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
দুর্নীতি জাতীয় জীবনের মূলস্রোতকে শুধু বিনষ্ট করে না, গণমানুষের মাঝে নৈতিকতার চেতনাকে বিনষ্ট করে। তখন জনপ্রশাসনের পক্ষে আইনের প্রয়োগ অথবা শৃঙ্খলা বিধানের প্রচেষ্টাও চরমভাবে ব্যর্থ হয় । সর্বোপরি রাষ্ট্রে ও জনপ্রশাসনে দুনর্ীতির বিকাশ হলে গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হয় । আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হলে গণতন্ত্রের উপর মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা হ্রাস পায়, হিংস্রতা ও বিদ্বেষ সমাজে বৃদ্ধি পায়, প্রবঞ্চিত মানুষের কাছে জঙ্গীবাদ অভিনন্দিত হয়। তখন জনপ্রশাসন হয়ে উঠে লক্ষ্যহীন, ভীত ও ভঙ্গুর।
এ জাতীয় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ হতে পারে একমাত্র সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন যা রাষ্ট্রের জন্য সব সময় জরুরি পদক্ষেপ। বিশ্বব্যাপী মুক্ত ও নীতি নির্ভর অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির যে উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে তাকে সফল করতে হলে প্রয়োজন জনগণের আস্থাভাজন একটি জনপ্রশাসন।
দুর্ভাগ্যজনক যে ৯ ডিসেম্বর ২০১০ আন্তজর্াতিক দুনর্ীতি বিরোধী দিবসের প্রাক্কালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কতর্ৃক প্রকাশিত "গেস্নাবাল করাপশন ব্যারোমিটার" প্রতিবেদনে জনপ্রশাসনে ভয়াবহ দুনর্ীতির চিত্র উন্মোচিত হয়েছে। উলেস্নখ করা হয়েছে যে ৮৬ টি দেশের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন দুনর্ীতির শিকার। প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজনকে বিভি্ন্ন কারণে ঘুষ দিতে হয়। বাংলাদেশের ৬৬ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে দুনর্ীতির শিকার হচ্ছেন । আরো হতাশাজনক হচ্ছে যে বাংলাদেশের ৭৯ শতাংশ মানুষ সর্বাধিক দুনর্ীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে পুলিশ বিভাগকে চিহ্নিত ও দায়ী করেছে । এ ছাড়াও জনপ্রশাসনকে ৬৮ ভাগ জনগণ দুনর্ীতিগ্রস্ত হিসেবে বিবেচনা করে । তবে নিদারুণ এবং নিতান্তই হতাশাজনক যে ৪৩ শতাংশ মানুষ মনে করে বিচার বিভাগ দুনর্ীতিগ্রস্ত। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে পুলিশ বিভাগ ও সাধারণ প্রশাসনের প্রতি দুনর্ীতির অভিযোগ উঠেছে , অঙ্গুলি নির্দেশ হয়েছে। এ শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাধারণ প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি বিরূপ মন্তব্য উত্থাপিত হয় বিভিন্ন কারণে, অনেক সময় বল প্রয়োগ, মানব অধিকার বিরোধী কর্মকান্ডে জন্য অথবা দলীয় রাজনীতির তল্পিবাহক হিসাবে । কিন্তু বিচার বিভাগের প্রতি ব্যাপকভাবে অঙ্গুলি নির্দেশ এবার মনে হয় সর্বাধিক এবং ভীতিকর । সৃষ্টিকর্তার পরই পার্থিব এ জগতে মানুষ বিচার বিভাগের কাছে হাজির হয়, জনপ্রশাসনের অবিচার , ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধানের সুবিচার প্রাপ্তির প্রত্যাশায় । এ খাতে যদি দুনর্ীতির ব্যাপ্তি এতোটা বিশাল ও ভয়াবহ হয় , জনগণ কোথায় যাবে? অবশ্যই সে উপায় খুঁজবে এবং তা হচ্ছে সহিংস প্রতিবাদ । সম্ভবত এ কথাই ভারতীয় প্রখ্যাত লেখিকা অরুদ্ধতী রায় বারবার বলতে গিয়ে সরকারের রোষানলে পড়েছেন।
লক্ষ্য করা যায় যে বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ দুনর্ীতি বিরোধী আন্দোলনে শামিল হতে চায়। সাধারণ জনগণ জনপ্রশাসনকে দক্ষ, জনকল্যাণমুখী এবং ন্যায় ও সুবিচারের প্রতীক হিসাবে দেখার প্রত্যাশা করে । এ লক্ষ্যেই তারা ১৯৯০- এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছিল , ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দিন বদলের আন্দোলনে শামিল হয়েছিল । তাই জনপ্রশাসনকে নতুনভাবে সাজাতে হবে , পুলিশ প্রশাসনেও ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে । নিয়োগ পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে যেমন আধুনিক পদ্ধতির বা ডিজিটাল প্রক্রিয়ার প্রয়োগ করতে হবে , তেমনিভাবে আচরণ বিধিমালা , শৃংঙ্খলা ও আপীলের ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন আনতে হবে ।
সত্যি কথা বলতে কি এ ক্ষেত্রে উলেস্নখযোগ্য কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না দেখে জনপ্রশাসনে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যেমন হতাশ হচ্ছে, তেমনিভাবে জনপ্রশাসনের উপর থেকে জনগণের আস্তা দিন দিন দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে ।
ফলে সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, মা বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মানবোধ বিদূরিত হচ্ছে , অপরাধ প্রবণতা অনেক ক্ষেত্রে জাতীয় উৎকন্ণ্ঠা ও চরম উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে । সুশাসনের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অর্থ শুধুমাত্র ঘুষ দুনর্ীতির অবসান নয়, এ হচ্ছে প্রতিটি কাজে নিয়ম কানুন ও শৃংঙ্খলা প্রতিস্থাপিত করা । যেমন ১০ টার সময় যে ট্রেন ষ্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা তা ঐ সময়েই যাবে, নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা যোগ্যতা ও বিধিবিধান বহাল থাকবে , বাসষ্টান্ডে বাস দাঁড়াবে, লোকজন সারিবদ্ধভাবেই গাড়িতে চড়বে, ব্যত্যয় যেন না হয় এজন্য প্রশাসন সহযোগিতা করবে। এভাবেই জনপ্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা স্থাপিত হবে , সরকারের ভাবমূর্তি বিকশিত হবে। কোন রেল লাইনের গার্ড যদি খুশি মতো গাড়িকে লাইন দেয়ার সাহস পায় মারাত্মক দুর্ঘটনার সূচনা করে কারণ মহাপরিচালক তার আত্মীয় , তবে জনপ্রশাসনের প্রতি জনগণ মারমুখী হওয়া ভি্ন্ন উপায় নেই ।
কানাডার টরেন্টো শহরে দেখেছি, জনমানবহীন খালি রাস্তায় লাল সিগন্যাল থাকলে কোন চালক ভুলেও অগ্রসর হবে না। ট্রাফিক পুলিশের ভয়ে সবাই ভীত, সন্ত্রস্ত। কুয়ালালামপুর অথবা বেইজিং শহরে কোন প্রকার নিয়মের ব্যত্যয় হবে, চলাচলকারী যানবাহন বা পথচারীরা ভাবতেই পারে না অথচ এ সবও বহুল জন অধু্যষিত শহর ও লোকালয়। এমন কি কলকাতা শহরেও রাত দুপুরে মেয়েরা নির্ভয়ে চলাচল করছে, ইভটিজিং বা এসিড মারার উদাহরণ নেই। এ সব ছোটখাটো বিষয়, অথচ সবই সুশাসনের অংশ।
দুনর্ীতি বিরোধী লড়াই জোরদার করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ৮০ লাখ ডলার, প্রায় ১২৬ কোটি টাকা সাহায্য করবে । শাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন , জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও সততা বিষয়ক প্রকল্প ''প্রগতি" পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করা হবে সুশাসন প্রতিষঠার লক্ষ্যে । ইউ এস এ আই ডি এ অর্থ সহায়তা দিবে । দুনর্ীতি দমন দিবস উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর ২০১০ "দুনর্ীতি দমনের জন্য অংশীদারিত্ব "শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয় । ইতিপূর্বে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক -এর সহযোগিতায় একটি প্রকল্প হাতে নেয় । কিন্তু প্রকল্প করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে কিনা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে । হয়ত বা কিভাবে বিদেশে জনপ্রশাসন পরিচালিত হয় তা দেখা যাবে কিন্তু তার প্রতিফলন এ দেশে করতে হলে রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ এবং জনপ্রশাসনে নিয়োজিত বিদ্গ্ধ ব্যক্তি বর্গের সুচিন্তিত অভিমতের প্রয়োজন হবে, সরকারকে সুশাসনের অঙ্গিকারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
দুনর্ীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন করা, সত্য ও জবাবদিহিতা কমিশন গঠনের মাধ্যমে দোষ স্বীকার করে ভবিষ্যতে সঠিক পথে চলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল এইতো সেদিন। অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য অনেককে জেল জরিমানা ও অপমানিত হতে হয়েছে। কিন্তু মনে হয় এ সব উদ্যোগ জনজীবনে বা প্রশাসন প্রক্রিয়ায় কোন প্রকার মানসিক বা পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়নি । ভবিষ্যতে ও হবে কিনা সন্দেহ।
সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনপ্রশাসনের উপর জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে সরকারকে এবং জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে এ বিষয়ে সন্দেহের কোন অবতকাশ নেই । জনগণ শাসন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি যখন তাদের আস্থা স্থাপন করবে তখনই সরকারের ভাবমূর্তি বিকাশ লাভ করবে, সরকারের সকল গৃহীত উদ্যোগ সর্বত্র সমাদৃত হবে । স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশবাসী হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি বিবর্জিত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চায়। তৃতীয় বিশ্বের উদাহরণ হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বে শ্রদ্ধার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে এ হচ্ছে জনগণের প্রত্যাশা।
জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতীক হিসাবে সরকার নিজেকে প্রমাণ করতে হবে এবং প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে জনগণের আস্থা অর্জন করার লক্ষ্যে দক্ষতা, সততা ও স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়ে দিন বদলের অঙ্গিকারকে অর্থবহ করতে হবে।
===============================
পরিবেশ সুরক্ষায় তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা  রাত যায় দিন আসে  শিক্ষা ছাড়া অর্থনৈতিক মুক্তি অসম্ভব  ভালবাসা নিভিয়ে দেয় হিংসার আগুন  মহান মুক্তিযুদ্ধঃ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি  রহস্যের পর্দা সরিয়ে দ্যুতিময় এমিলি ডিকিনসন  বেগম রোকেয়াঃ নারী জাগরণের বিস্ময়কর প্রতিভা  শিক্ষারমান ও সমকালীন প্রেক্ষাপট  বিজয় দিবসঃ অর্জন ও সম্ভাবনা  একটি ট্রেন জার্নির ছবি ও মাইকেলের জীবন দর্শন  ডক্টর ইউনূসকে নিয়ে বিতর্ক  উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনা  বাংলাদেশ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন  ক্ষুদ্রঋণ ও বাংলাদেশের দারিদ্র্য  শেয়ারবাজারে লঙ্কাকাণ্ড  মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার  শক্ত ভিত ছাড়া উঁচু ভবন হয় না  ট্রেন টু বেনাপোল  বনের নাম দুধপুকুরিয়া  নথি প্রকাশ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার অ্যাসাঞ্জের  ছিটমহলবাসীর নাগরিক অধিকার  শিক্ষা আসলে কোনটা  জীবন ব্যাকরণঃ হিরালি  ন্যাটো ও রাশিয়ার সমঝোতা ইরানের ওপর কি প্রভাব ফেলবে  জার্নি বাই ট্রেন  পারিষদদলে বলেঃ  চরাঞ্চলের ভূমি ব্যবস্থাপনা  সচেতন হলে শিশু প্রতিবন্ধী হয় না  স্মৃতির জানালায় বিজয়ের মাস  বিচারপতিদের সামনে যখন ‘ঘুষ’  কয়লানীতিঃ প্রথম থেকে দশম খসড়ার পূর্বাপর  শ্বাপদসংকুল পথ  মুক্তিযুদ্ধে গ্রাম  ১২ বছর আগে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে  চট্টগ্রাম ইপিজেডে সংঘর্ষে নিহত ৪  ড. ইউনূস : প্রতিটি বাংলাদেশির গৌরব  জলাভূমিবাসীদের দুনিয়ায় আবার..  আসুন, আমরা গর্বিত নাগরিক হই  স্মৃতির শহীদ মির্জা লেন  ইয়াংওয়ান গ্রুপের পোশাক কারখানা বন্ধ  ট্রানজিটে ১১ খাতের লাভ-ক্ষতির হিসাব শুরু  চট্টগ্রামের বনাঞ্চল ছাড়ছে হাতি  ট্রেন


দৈনিক ইত্তেফাক এর সৌজন্যে
লেখকঃ ধীরাজ কুমার নাথ
সাবেক সচিব


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.