সিরিজে সমতা আনল অস্ট্রেলিয়া

একের পর এক ব্যর্থতা আর সমালোচনার চাপে ধীরে ধীরে যেন তলিয়ে যেতে বসেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২৪ বছর পর দেশের মাটিতে অ্যাশেজ হারের আশঙ্কা আরও চেপে বসেছিল সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি হারার পর। এই মুহূর্তে সবকিছু ঝেড়ে ফেলে উঠে দাঁড়াতে একটা জয় খুবই প্রয়োজন ছিল অসিদের। শেষ পর্যন্ত অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সেই স্বস্তির জয়টা পেল অস্ট্রেলিয়া। এক দিন বাকি থাকতেই ইংল্যান্ডকে ২৬৭ রানে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল তারা।
পার্থ টেস্টের তৃতীয় দিনে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের পথটা অনেকখানিই সুগম করে রেখেছিলেন দুই অস্ট্রেলিয়ান পেসার রায়ান হ্যারিস আর মিচেল জনসন। আজ চতুর্থ দিনে জয় নিশ্চিত করার জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। মাত্র ১০ ওভারের মধ্যেই ইংল্যান্ডের বাকি ৫টি উইকেট তুলে নিয়েছে পন্টিং বাহিনী। প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড গুটিয়ে গেছে মাত্র ১২৩ রানে।আজ দিনের চতুর্থ ওভারেই জেমস অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে প্রথম আঘাতটা হানেন রায়ান হ্যারিস। কয়েক ওভার বিরতি দিয়ে টানা ৩ ওভারে ইংল্যান্ডের বাকি ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন হ্যারিস আর জনসন। ইয়ান বেল, ম্যাট প্রিয়র ও স্টিভেন ফিনকে ফিরিয়েছেন হ্যারিস। আর গ্রায়েম সোয়ানকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন জনসন।ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে মাত্র ৪৭ রান দিয়ে ৬টি উইকেট নিয়েছেন হ্যারিস। আর দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন মোট ৯টি উইকেট।দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯টি উইকেট নিয়েছেন জনসনও। সেই সঙ্গে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংসটির সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা উঠেছে তাঁর হাতেই। 
 সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ২৬৭ রানে জয়ী।
অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস): ২৬৮; মিচেল জনসন ৬২, মাইক হাসি ৬১। জেমস অ্যান্ডারসন ২০-৩-৬১-৩, ক্রিস ট্রেমলেট ২৩-৩-৬৩-৩
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস): ১৮৭; ইয়ান বেল ৫৩, অ্যান্ডি স্ট্রাউস ৫২। মিচেল জনসন ১৭.৩-৫-৩৮-৬, রায়ান হ্যারিস ১৫-৪-৫৯-৩
অস্ট্রেলিয়া (দ্বিতীয় ইনিংস): ৩০৯; মাইক হাসি ১১৬, শেন ওয়াটসন ৯৫। ক্রিস ট্রেমলেট ২৪-৪-৮৭-৫, স্টিভেন ফিন ২৩-৪-৯৭-৩
ইংল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস): ১২৩, জনাথন ট্রট ৩১। রায়ান হ্যারিস ১১-১-৪৭-৬, মিচেল জনসন ১২-৩-৪৪-৩

No comments

Powered by Blogger.