চীন-পাকিস্তানের সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর

চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দেশ দুটি ৩১টি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের পাকিস্তান সফরের সময় গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনের কোনো প্রধানমন্ত্রী ইসলামাবাদ সফর করছেন। ইসলামাবাদে গতকাল শনিবার পাকিস্তান-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার উদ্বোধন করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেন, ভারতের সঙ্গে সব ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কয়রা সাংবাদিকদের জানান, দুই দেশের মধ্যে ৩১ চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। জ্বালানি, রেলযোগাযোগ, অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং কৃষি খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যেই এসব চুক্তি ও স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী কামার জামানের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের পত্রিকা ডন জানায়, এসব চুক্তির আওতায় আগামী পাঁচ বছরে ৩৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চীন পাকিস্তানকে সহায়তা দিয়ে যাবে। মূলত এটি পাঁচ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা। তথ্যমন্ত্রী কামার জামান বলেন, এক হাজার পাঁচ শ কোটি ডলার আসবে যৌথ অর্থনৈতিক সহযোগিতা গ্রুপের কাছ থেকে এবং দুই হাজার কোটি ডলার আসবে বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তি থেকে। তথ্যমন্ত্রী কামার জামান বলেন, ‘চীন সব মিলিয়ে তিন হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।’
গতকাল পাকিস্তান-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী গিলানি বলেন, ‘আমাদের স্বার্থে, আমাদের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা এই অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আশা করি। এই আকাঙ্ক্ষা থেকে ভারতের সঙ্গে সব ইস্যুতেই শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও ইসলামাবাদ একই ধরনের মনোভাব পোষণ করে। এই অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করে, পাকিস্তান এমন যেকোনো নীতির বিরোধিতা করে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী গিলানি।

No comments

Powered by Blogger.