শিল্প-অর্থনীতি 'কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেতন-কাঠামো' by খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় বেতন-কাঠামোর বাইরে এনে স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব এবং আলোচনা বহুদিনের। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নররা সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার করেছিলেন। প্রস্তাবও পেশ করেছিলেন। 'অস্থায়ী' (রাজনৈতিক) সরকারের আপত্তি ছিল না। 'স্থায়ী' (আমলা) সরকারের বিরোধিতায় ফয়সালা হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। অর্থমন্ত্রীর পদে আসীন হওয়ার পর আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রথমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিদর্শনে গেলে বিষয়টি উত্থাপিত হয় এবং তিনি খোলামেলাভাবেই আশ্বাস দেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামো ঘোষণা করা হবে।
তাঁর আশ্বাসবাণী সংবাদমাধ্যমে জোরেশোরেই প্রচারিত হয়েছিল। জনসমর্থনপুষ্ট শক্তিশালী সরকারের শক্তিধর অর্থমন্ত্রীর দৃঢ় আশ্বাসে সবাই আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। এরপর সরকারের দুই বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি শ্রুতিই রয়ে গেল। বাস্তবায়িত হলো না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমে উঠেছে হতাশা। আর জনমনে ঔৎসুক্য জেগেছে ঘটনার রসায়ন নিয়ে! জনগণ এত দিন জানত, 'মিয়া-বিবি রাজি, কেয়া করেগা কাজি।' কিন্তু এখন উপলব্ধি করছে যে কাজিও শক্তিধর। মিয়া-বিবি উভয়কেই কুপোকাত করে ফেলতে পারে! বাংলাদেশ ব্যাংক চায়। সরকারও রাজি। তাতে কী? কাজি কি রাজি? কাজি কি সরকারের অধীন? নাকি সরকার চলে কাজির ইচ্ছায়? এই কুৎসিত বিষয়টি আবার চলে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া অনুচিত। কারণ শুধু এ সরকারই নয়, ভবিষ্যৎ সরকারগুলোও একই গ্যাঁড়াকলে পড়বে। গণতন্ত্র বিঘি্নত হবে। কারণ জনগণ ভোট দেয় রাজনৈতিক সরকারকে। 'স্থায়ী' সরকারকে নয়।
যত দূর জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শুধু সম্মতিই নয়, 'গো-অ্যাহেড' সিগন্যালও রয়েছে। কিন্তু 'স্থায়ী' সরকারের সুকৌশল মারপ্যাঁচে বারবার সিগন্যালের বাতি নিভে যাচ্ছে। খেলা শুরু হয় প্রথম থেকেই। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রকাশ্য ঘোষণার পর প্রকাশ্যে কাজ চলতে লাগল আর গোপনে চলল স্যাবোটাজ। স্যাবোটাজ প্রকাশ হয়েও পড়ল। হঠাৎ একদিন সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হলো, সরকারি বেতন-কাঠামো যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকও তার অন্তর্ভুক্ত। পেছন থেকে ছুরি মারার এমন কৌশল 'স্থায়ী' সরকারেরই জানা থাকে। হৈচৈ পড়ে গেল। মন্ত্রী নড়েচড়ে বসলেন। আবার কাজ শুরু করার কথা জানানো হলো। কর্মসম্পাদনের জন্য সরকার একটি কমিটি গঠন করল। না, এটি কোনো বিশেষজ্ঞ কমিটি নয়। সংসদীয় কমিটি নয়। আইন কমিটিও নয়। এটি ছিল একটি আমলা কমিটি। এমনিতেই কোনো প্রস্তাবনাকে হত্যা করতে হলে ওটি কমিটিতে পাঠানো হয়। এটা আবার যেনতেন কমিটি নয়। একেবারে আমলা কমিটি। মামলা ওখানেই খতম_মন্তব্য বিদগ্ধজনের। কমিটি গঠনের পর অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন, এই কমিটি অশ্বডিম্ব প্রসব করবে না। প্রসব করবে বিষাক্ত সর্পডিম্ব। তাদের রিপোর্ট থেকে বিষ বেরোবে। হলোও তাই। পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, কমিটি রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে, সর্বোচ্চ বেতনধারীর বেতন ৫০০ টাকা বাড়ানো হোক। অর্থাৎ স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামোর প্রয়োজন নেই। কী চমৎকার রিপোর্ট! স্বতন্ত্র পে-স্কেল সুপারিশের জন্য গঠিত কমিটির এই হলো সুপারিশ! এ না হলে আর আমলা কমিটি কেন?
সরকার যখন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেয়, তখন নির্বাহী বা আমলা পর্যায়ের দায়িত্ব হলো সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের কৌশল বের করা এবং তা কার্যকর করা। কিন্তু আমাদের দেশে নির্বাহী পর্যায়ে শুরু করা হয় বিড়ম্বনা। বিশ্বের সব দেশেই নির্বাহী বিভাগ রয়েছে। তবে সব দেশে আমলাতন্ত্র নেই। আমলাতন্ত্রের একটা বিশেষ অর্থ রয়েছে। আমলাতন্ত্রের অর্থ হলো সরকারকে বশীভূত বা পরাভূত করে নিজেদের ইচ্ছামাফিক রাষ্ট্র পরিচালনা করা। গণতান্ত্রিক সরকার যদি নির্বাহীদের ফাঁদে পড়ে যায়, তাহলে 'গণতন্ত্র' পরিচালিত হয় আমলাতন্ত্রের দ্বারা। রাজতন্ত্র যদি আমলাদের হাতে বন্দি হয়, তাহলে রাজতন্ত্র কার্যত আমলাতন্ত্রে পর্যবসিত হয়। নির্বাহীদের 'স্থায়ী' কাঠামো যদি রাজনৈতিক সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলেই সরকার প্রকৃত প্রস্তাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। তা না হলে আমলাতন্ত্রই সরকার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
এ জন্যই বিভিন্ন দেশে নির্বাহী কাঠামোর ভিন্নতা দৃষ্ট হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তিত হলে নির্বাহীদের উপরিকাঠামো পরিবর্তন করে ফেলা হয়। আমাদের পরিভাষায় 'দলীয় লোকজন' নিয়ে আমলা-কাঠামো সাজানো হয়। দলীয়করণই সে দেশের রীতি। দলীয় লোকদের ওপর আস্থা রাখা যায়। যেহেতু তাঁরা রাজনৈতিক সরকারের নিজস্ব মানুষ, তাই তাঁরা হবেন প্রশাসনের সহায়ক শক্তি। আমরা অবশ্য 'দলীয়করণ' কথাটা গালি হিসেবে ব্যবহার করি। ব্রিটিশ রীতি অনুযায়ী নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল আমলাতন্ত্র এ দেশে গড়ে তুলতে পারিনি। কাঠামো নিরপেক্ষ, অথচ নির্বাহী নিয়োগে দলীয়করণের প্রভাব। বিএনপি-জামায়াত আমলে শোনা গিয়েছিল, তাঁরা আমলাদের প্রতিটি পর্যায়ে ক্রমানুযায়ী চারজন দলীয় লোক নিয়োগ করেছিলেন। অর্থাৎ সচিব চলে গেলে যিনি সচিব হবেন, তিনিও তাঁদের লোক। এমনিভাবে চারজন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওলট-পালট করলেও যাতে চারদলীয় আমলাতন্ত্র বজায় থাকে, তার ব্যবস্থা। আল্লার মার, দুনিয়ার বার। নির্বাচনে আমলাতন্ত্র ফেল। ফেল করলেও নতুন সরকারের জন্য কাঁটা হয়ে রইল। এখানে তো আর যুক্তরাষ্ট্রের মতো খোলনলচে পাল্টে ফেলা যাবে না। কজনকে ওএসডি করবেন? দুই-চারজনকে ওএসডি করা মাত্রই দলীয়করণের অভিযোগ উঠল।
চারদলীয় নির্বাহী বিভাগের চরম দলবাজি একটুখানি নিউট্রালাইজ করতে গেলেই পাল্টা দলীয়করণের কথা উঠবে। আগের সরকার যা করেছে, তোমরা তা করতে পারবে না। অর্থাৎ তাঁদের দলীয় আমলা নিয়ে তোমাদের চলতে হবে। ফলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। ব্রিটিশ ধাঁচের আমলা-কাঠামোয় একবার বড় রকমের দলীয়করণ করা হলে নিরপেক্ষ কাঠামো ভেঙে পড়ে। ওটা নিয়ে পরের সরকার নির্বিঘ্নে চলতে পারে না। খোঁড়াতে খোঁড়াতে চলতে হয়। তেমনটাই হয়েছে এখন।
যে কথা বলছিলাম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এত কথা এসে গেল। প্রবীণ আমলা কাম রাজনীতিক অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, এ বছর অক্টোবরের মধ্যে স্বতন্ত্র পে-স্কেল হয়ে যাবে। কিন্তু হয়নি। নবীন আমলাদের কাছে হার মেনে সেদিন এক সেমিনারে অর্থমন্ত্রী নতুন করে ঘোষণা দিয়েছেন, এ অর্থবছরের মধ্যে স্বতন্ত্র পে-স্কেল হবে। আমলারা তো দু-দুবার খেল দেখালেন। তাঁরা যে এ অর্থবছরেও আবার খেল দেখাবেন না, মন্ত্রী কি সে বিষয়ে নিশ্চিত? আমলাদের দোষ দিয়ে লাভ কী? দোষ তো রাজনৈতিক সরকারেরও। ধরে নিচ্ছি, স্বতন্ত্র পে-স্কেলের অঙ্গীকারে তারা নিষ্ঠাবান। শুধু নিষ্ঠাবান হলে তো চলবে না, অঙ্গীকার বাস্তবায়নের বুদ্ধি ও সক্ষমতা দুটোই তো থাকতে হবে। আমলাদের দিয়ে কাজ করাবেন, কিন্তু আমলানির্ভর হলে তো বিপর্যয় হবেই। আমলা কমিটি গঠনের দরকারটা কী ছিল? ওটিও আমলাদেরই পরামর্শ। কমিটি যদি করতেই হতো, তাহলে আরো প্রবীণ আমলাদের নিয়েই করা যেত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন, ড. ফখরুদ্দীন এবং ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ_তিনজনই আমলাকুল শিরোমণি, সাবেক সিএসপি ক্যাডারের সদস্য। দেশে-বিদেশে বহুমাত্রিক দায়িত্ব সম্পাদনের সুবাদে তিনজনই নিজ উচ্চতা অতিক্রম করে উচ্চতর অবস্থান গ্রহণে পারঙ্গম। তাঁদের একজন দেশের বাইরে। দুজন দেশেই রয়েছেন। এ দুজনকে নিয়েই কমিটি গঠন করা যেত। কমিটির দরকারই বা কী? সমস্যাটা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে এক জায়গায়। গিঁটটা ছাড়িয়ে দিলেই তো হয়। আইনবিধি মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি পে-স্কেলের আওতাধীন। আওতামুক্ত করে দিলেই তো হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পে-স্কেল প্রতিবেশী বা অন্যান্য দেশে সরকারি স্কেলের আওতাধীন নয়। এ দেশেও ছিল না। স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক ইচ্ছায় আইন করে আনা হয়েছে। এখন সরকার চাইলে আইন সংশোধন করে আওতামুক্ত করে দেওয়া যায়। যে সরকার সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা রাখে, তার কাছে তো এটা নস্যি।
আইনবিধি সংশোধন করার পরের পদক্ষেপ হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য একটি উপযোগী বেতন-কাঠামো প্রস্তুতকরণ এবং প্রচলন। এটি অপেক্ষাকৃত কঠিন কাজ। অন্তত বিধি সংশোধনের চেয়ে কঠিন। এর জন্য একটি নির্দেশিকা টার্মস অব রেফারেন্স হিসেবে দিয়ে দিলে কাজটি সহজ হবে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেতন-কাঠামো পর্যালোচনা করা যায়। ওই সব দেশের সরকারি বেতন-কাঠামোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেতন-কাঠামোর অনুপাত বিশ্লেষণ করা যায়। বাংলাদেশের বাজার পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মেধাবীদের আকর্ষণের জন্য উপযোগী কমপেনসেশন কত হতে পারে তার একটা সমীক্ষা থাকতে পারে। অপেক্ষাকৃত উন্নত দেশ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের কেস স্টাডিও রেফারেন্স হিসেবে টানা যেতে পারে। এসবের ভিত্তিতে একটি বাস্তবসম্মত বেতন-কাঠামো তৈরি করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক যে বিরাট অঙ্কের বার্ষিক মুনাফা অর্জন করে, তাতে নতুন বেতন-কাঠামো বাস্তবায়নে সরকারের সহায়তার কোনো প্রয়োজন হবে না। প্রথমবার হঠকারী গেজেট প্রকাশ এবং দ্বিতীয়বার ৫০০ টাকা বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামোর বিষয়ে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তটিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার শামিল। সরকার কি নিজের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সক্ষম হবে?
============================
স্মরণ- 'মীর শওকত আলী বীর উত্তম : একজন বীরের প্রতিকৃতি' by ড. আশকার ইবনে শাইখ  আন্তর্জাতিক- 'মিয়ানমারে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ' by আহসান হাবীব  রাজনৈতিক আলোচনা- 'বিচিত্র সংকটের আবর্তে একটি বাড়ি' by এবিএম মূসা  ইতিহাস- 'হাজংমাতা শহীদ রাশিমনির স্মৃতিসৌধে' by দীপংকর চন্দ  গল্প- 'ঈর্ষার রং ও রূপ' by আতাউর রহমান  ডিজিটাল-প্রযুক্তি কি মানবতাবিরোধী প্রবণতা তৈরি করে? by মোহীত উল আলম  খবর- এক দশক পর ছেলের সঙ্গে দেখা হলো সু চির  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'ট্রানজিটঃ অর্থের বাইরে বাইরে প্রাপ্তিযোগও ভাবতে হবে' by কে এ এস মুরশিদ  খবর- আমনের বাম্পার ফলনেও বাড়ছে চালের দাম by ইফতেখার মাহমুদ  রাজনৈতিক আলোচনা- 'বাড়ি নিয়ে বাড়াবাড়ি' by ফজলুল বারী  আলোচনা- 'খাদ্যনিরাপত্তা ও পশুসম্পদ' by ড. মো. সিদ আলোচনা- 'আমি বাস্তুহারা'_এ কথার মানে কী?' by এ এন রাশেদা  গল্পালোচনা- 'বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র' by মোস্তফা কামাল  রাজনৈতিক আলোচনা- 'যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের যন্ত্রণা এবং নতুন মুক্তিযোদ্ধা সনদ' by হারুন হাবীব  খবর ও ফিচার- কয়েন-কাহিনী  প্রকৃতি- 'বৈরিতায় বিপন্ন বাঘ' by বিপ্লব রহমান  প্রকৃতি- 'সুন্দরবন ঘেঁষে রেললাইন!' by পার্থ সারথি দাস  খবর- কোরীয় সীমান্তে ব্যাপক গোলাবিনিময়ে নিহত ২ 


কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ
সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থনীতিবিদ


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.