দুই কোরিয়ার সংঘর্ষের ইতিহাস

১৯৫০-৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পর প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি:
২১ জানুয়ারি, ১৯৬৮: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক চাং হিকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাজধানী সিউলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ব্লু হাউসে উত্তর কোরিয়ার একদল কমান্ডোর হামলা। কিন্তু প্রাসাদের মাত্র ৮০০ মিটার দূরে ওই কমান্ডো দলের ৩২ সদস্যকে আটকে দেওয়া হয়। পরে তাঁদের আটক ও হত্যা করা হয়।
১৫ আগস্ট, ১৯৭৪: ভাষণ দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট পার্ককে লক্ষ্য করে উত্তর কোরিয়ার এক এজেন্ট গুলি ছোড়েন। গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে প্রেসিডেন্টের স্ত্রী নিহত হন।
৯ অক্টোবর, ১৯৮৩: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট চাং হু-এইচওয়ান এক সফরে মিয়ানমারে পৌঁছার ঠিক আগমুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার এক এজেন্টের আত্মঘাতী হামলায় দক্ষিণের চার মন্ত্রী ছাড়াও ১৬ জন নিহত হন।
২৯ নভেম্বর, ১৯৮৭: দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানে উত্তর কোরীয় এজেন্টের রাখা বোমার বিস্ফোরণে ওই বিমানের ১১৫ জন আরোহী নিহত হন।
সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬: উত্তর কোরিয়ার একটি সাবমেরিন দক্ষিণ কোরীয় উপকূলে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় উপকূলরক্ষীদের হামলায় ২৪ জন অনুপ্রবেশকারী নিহত হন। এ ছাড়া এক কমান্ডোকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫ জুন, ১৯৯৯: পীত সাগরে সীমান্ত এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ জন সেনাসদস্যসহ উত্তর কোরিয়ার একটি জাহাজ ডুবে যায়।
২৯ জুন, ২০০২: আবারও পীত সাগরে সংঘর্ষ। এতে ছয় সেনাসদস্যসহ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার ১৩ জন নিহত হন।
১০ নভেম্বর, ২০০৯: পীত সাগরে দুই দেশের নৌসেনাদের গুলিবিনিময়। সিউলের দাবি, গুলিতে উত্তরের একটি টহল নৌকায় আগুন ধরে যায়।
২৬ মার্চ, ২০১০: দুই দেশের বিতর্কিত জলসীমায় দক্ষিণ কোরীয় চেওনান যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণ। ৪৬ জন নাবিক নিহত।
২০ মে, ২০১০: বহুজাতিক তদন্তে দাবি, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে চেওনানে ওই বিস্ফোরণ ঘটে।
২৪ মে, ২০১০: উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সিউল। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া তাদের জলসীমা দিয়ে উত্তর কোরিয়ার জাহাজ চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
২৯ অক্টোবর, ২০১০: সিউলে জি-২০ সম্মেলনের আগে সীমান্ত এলাকায় দুই কোরিয়ার সেনাসদস্যরা গুলিবিনিময় করেন।
২৩ নভেম্বর: উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়াইওনপিয়ং দ্বীপে গোলা ছোড়ে। দক্ষিণ কোরিয়াও এর জবাব দেয়। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার দুজন নৌসেনা নিহত হন।

No comments

Powered by Blogger.