হ্যারিসের সঙ্গে এবার হরিজও

দুর্দান্ত বোলিং করে অস্ট্রেলিয়াকে আগের ম্যাচটা জিতিয়েছেন রায়ান হ্যারিস। কালও ৫ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি পেসার। এদিনও হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। তবে কাল পার্থে অস্ট্রেলিয়ার ১৩৫ রানের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল আরও একজনের—নাথান হরিজ। ৩৯ বলে করেছেন অপরাজিত ৫৩ রান।
না, এটি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস সর্বোচ্চ রান নয়। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৭ রান মাইক হাসির। তার পরও ‘ব্যাটসম্যান’ হরিজের অবদানটাকে বড় করে দেখার কারণ—সপ্তম উইকেটে হাসির সঙ্গে হ্যারিসের দুর্দান্ত জুটিটা না হলে পাকিস্তানকে ২৭৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারত না স্বাগতিকেরা। ১৯০ রানে অস্ট্রেলিয়া হারিয়ে ফেলেছিল ৬ উইকেট। যখন মনে করা হচ্ছিল, আর বেশি দূর যেতে পারবে না তারা, তখনই হরিজ হাসির সঙ্গে দাঁড়িয়ে যান উইকেটে। পাকিস্তানি ফিল্ডারদের হতাশ করে তারা করেন ৮০ রান। ৮ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া করে ২৭৭। হরিজের অপরাজিত ৫৩ রানে ছিল ১টি চার ও ৪টি ছয়।
রান তাড়া করতে এসে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। প্রথম ওভারে বাট, পঞ্চম ওভারে ইউনুসকে হারিয়ে ফেলে তাঁরা। ১৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানের জন্য তখন দরকার ছিল কারও বড় রান। কিন্তু কোনো ব্যাটসম্যানই পূরণ করতে পারেনি দলের প্রয়োজন। উল্টো ৯৯ রানে পাকিস্তান হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। পরের ৫ উইকেট পড়েছে মাত্র ৪৩ রানে। অর্থাত্ ১৪২ রানেই অলআউট পাকিস্তান। ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার রায়ান হ্যারিস।
এই হারে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াটওয়াশের কিনারে এসে দাঁড়াল পাকিস্তান। ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে আগামীকাল শেষ ম্যাচে জিততেই হবে পাকিস্তানকে। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৭৭/৮ (মার্শ ১২, হাডিন ৩২, পন্টিং ৩০, ক্লার্ক ১০, হোয়াইট ৪৪, হাসি ৬৭, হোপস ১৬, হরিজ ৫৩*, হ্যারিস ৪, ম্যাকে ০*; আসিফ ৩/৪২, আজমল ২/৫৫, আফ্রিদি ১/৪৪, নাভেদ ১/৭০)।
পাকিস্তান: ৩৭.৫ ওভারে ১৪২ (বাট ০, কামরান আকমল ১৭, ইউনিস ৬, ইউসুফ ১০, উমর আকমল ৩৮, ফাওয়াদ ২১, আফ্রিদি ২৯, নাভেদ ০, ইফতিখার ৫, আজমল ৭, আসিফ ০*; হ্যারিস ৫/১৯, সিডল ২/৩১, ম্যাকে ১/১৬)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১৩৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রায়ান হ্যারিস (অস্ট্রেলিয়া)।

No comments

Powered by Blogger.