আসামে বাঘ খাঁচাছাড়া, অতঃপর

ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটির চিড়িয়াখানাটি দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড়। প্রতিদিনের মতো কাল শনিবার সকালেও চিড়িয়াখানার বাঘের খাঁচার তত্ত্বাবধায়ক লোহার খাঁচাটি খুলতে যান। যেই মুহূর্তে তিনি দরজা খোলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়ে দুটি বাঘ। এরপর ধীরে-সুস্থে মনের আনন্দে চিড়িয়াখানায় হাঁটতে থাকে তারা।
ওই সময় চিড়িয়াখানায় প্রায় ১০ হাজার লোক ছিল। কয়েকজন লোক দেখতে পায় দুটি বাঘ খাঁচা থেকে বের হয়ে হাঁটছে। ভয় পেয়ে জীবন বাঁচাতে বাঘ বাঘ বলে চিত্কার করে দৌড়ায় তারা। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও দেয় দৌড়।
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা নারায়ণ মহন্ত বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, কপাল ভালো যে বাঘ দুটি চিড়িয়াখানার ভেতরে ছিল। রাস্তায় যাওয়ার চেষ্টা করেনি।
তিনি বলেন, আমরা তাত্ক্ষণিক লোকজনকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর এবং বাঘ দুটির অবস্থান জানার চেষ্টা করি। একটি বাঘ চিড়িয়াখানার একটি পুকুরের পাশে চুপচাপ বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। এটি উদ্ধারের কিছুক্ষণ পর অন্য বাঘটিকেও শান্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গুয়াহাটির ওই চিড়িয়াখানায় এর আগে ২০০৭ সালে বাঘের থাবায় ৫০ বছর বয়সী এক লোক নিহত হন। লোকটি খাঁচার সামনে গিয়ে বাঘের ছবি তোলার চেষ্টা করলে বাঘ হামলা চালায়।

No comments

Powered by Blogger.