‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় ঝলসে দিল কিশোরীর শরীর
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক বৃদ্ধকে দেখে ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় পপি আক্তার (১০) নামের এক কিশোরীর শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে ছায়ের খাতুন (৫৫) নামের এক নারী। আহত পপি আক্তার এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। সে স্থানীয় মৃত বিজলি আকতারের মেয়ে। ছোটবেলায় প্রথমে তার বাবা ও পরে মায়ের মৃত্যু হলে সে নানার বাড়িতে থাকত।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াজের বাড়িতে ঘটলেও কিশোরীটি অসহায় হওয়ায় প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানা যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও কিশোরীর মামা মো. দিদার কালবেলাকে জানান, বাবা-মা হারা কিশোরী পপি আক্তার বাড়ির উঠানে খেলছিল।
এসময় তার নানা সম্পর্কিত এয়ার মোহাম্মদ (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দুষ্টামিবশত ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলে হাসাহাসি করে। কিছুক্ষণ পর এয়ার মোহাম্মদের ছোট ভাইয়ের বউ ছায়েরা খাতুন (৫৫) এসে ওই কিশোরীর শরীরে গরম পানি ঢেলে দিলে তার শরীর ঝলসে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমি ঘটনা শোনার পর কিশোরীর অভিভাবককে থানায় আসতে বলছি, তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। শুনেছি কিশোরীটি অসহায়, তার বাবা-মা কেউ নেই। অভিভাবকরা এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এসময় তার নানা সম্পর্কিত এয়ার মোহাম্মদ (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দুষ্টামিবশত ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলে হাসাহাসি করে। কিছুক্ষণ পর এয়ার মোহাম্মদের ছোট ভাইয়ের বউ ছায়েরা খাতুন (৫৫) এসে ওই কিশোরীর শরীরে গরম পানি ঢেলে দিলে তার শরীর ঝলসে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমি ঘটনা শোনার পর কিশোরীর অভিভাবককে থানায় আসতে বলছি, তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। শুনেছি কিশোরীটি অসহায়, তার বাবা-মা কেউ নেই। অভিভাবকরা এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে বাবা-মা হারা কিশোরী পপি আকতার |
No comments