শ্রীলঙ্কায় বাজিমাত চীনপন্থি দিশানায়েকের
নির্বাচনে অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে পেয়েছেন মোট ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯১৫ ভোট (শতকরা ৪২.৩১ ভাগ)। সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৪৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫ ভোট (শতকরা ৩২.৭৬ ভাগ)। অন্যদিকে রনিল বিক্রমাসিংহে পেয়েছেন ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬৭ ভোট (শতকরা ১৭.২৭ ভাগ)। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু ও শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিরর। অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে মার্কসবাদী ও চীনপন্থি। অন্যদিকে সাজিথ প্রেমাদাসা ভারতপন্থি। তার প্রতি ভারতের সমর্থন আছে বলে গত সপ্তাহে দ্য ডিপ্লোম্যাটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শ্রীলঙ্কায় দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ভারত এ অঞ্চলে আরও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়তে পারে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক চিরবৈরী। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক মসৃণ নয়। মালদ্বীপে চীনপন্থি মোহাম্মদ মুইজু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এখন শ্রীলঙ্কায়ও চীনপন্থি দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ফলে এতে ভারতের কপালে আরও একটি চিন্তার রেখা যোগ হবে। শ্রীলঙ্কার নির্বাচনে একটি চমৎকার ব্যবস্থা চালু আছে। তাহলো প্রথম রাউন্ডের ভোটে যদি কোনো প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগ ভোট পেতে ব্যর্থ হন তাহলে দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা করা হয়। ২১শে সেপ্টেম্বর ভোটাররা সরাসরি ভোট দিয়েছেন। সেই ভোটের হিসাবে কোনো প্রার্থীই বিজয় নিশ্চিত করতে পারেননি। ওই ভোটের সময়ই ভোটারদেরকে একটি বিকল্প দেয়া হয়। তাতে তিনজন প্রার্থীকে ভোট দিতে বলা হয়। যদি প্রথম রাউন্ড ব্যর্থ হয়, তাহলে এই তিনজন প্রার্থীর মধ্য থেকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দু’জনের মধ্যে ভোট নতুন করে গণনা করা হয়। এটাই দ্বিতীয় দফার ভোট গণনা। এই গণনায় যিনি বেশি ভোট পান, তিনিই হন প্রেসিডেন্ট। এই হিসাবে অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। এরই মধ্যে দিশানায়েকের দলের পলিটব্যুরো সদস্য বিমল রত্নানায়েকে বলেছেন, শ্রীলঙ্কা আইএমএফের সঙ্গে যে ২৯০ কোটি ডলার বেইলআউট চুক্তি করেছে তা অজনপ্রিয়। তবু অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে এবং তার দল পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট সেই চুক্তি বাতিল করবে না। পক্ষান্তরে তারা এটা নিয়ে সমঝোতা করবে। তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো আইএমএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং কিছু শর্তের সংশোধন সামনে আনা।
No comments