সাবেক দুই এমপি ও ডিআইজি বাতেনের সম্পদের খোঁজে দুদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার,  নোয়াখালী-১ আসনের এইচ এম ইব্রাহীম ও পুলিশের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, অভিযুক্তদের বিষয়ে গোপন অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। ফলে অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। শিগগিরই অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট যশোর-৪ আসনের সাবেক এমপি মো. শাহীন চাকলাদার ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি নিজেই একজন ঠিকাদারির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক আধিপত্য কাজে লাগিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার নামে যশোর চিত্রার মোড়ে যাবির ইন্টারন্যাশনাল নামে ২২ তলাবিশিষ্ট পাঁচ তারকা হোটেল এবং কাঁঠালতলায় ‘হোয়াইট হাউস’ নামে সুরম্য অট্টালিকা রয়েছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও আত্মীয়-স্বজনের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। অন্যদিকে নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এই এমপি এইচ এম ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এইচ এম ইব্রাহিমের নিজ নামে ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং তার স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং ২ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকার স্থাবর সম্পদসহ মোট ২২ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার ৭৩৪ টাকার সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহীর সাবেক ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযুক্তের ৫০৪/২, রোকেয়া টাওয়ার, ৯৮ বড় মগবাজার, রমনায় কোটি টাকার ফ্ল্যাট, ধামমণ্ডি, বারিধারা, গুলশান, সিদ্ধেশ্বরীতে ফ্ল্যাট এবং স্ত্রীর নামে পূর্বাচলে প্লট, পুলিশ হাউজিং সোসাইটিতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ব্যাংকে প্রচুর টাকা জমা রয়েছে। গত ১৩ই আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের এলাকা রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন ও সেখানকার পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.