চীন নিয়ে নিজের বাড়িতে গোপন বৈঠক বাইডেনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি কয়েক সপ্তাহ। তার আগে সর্বশেষ নির্বাচনপূর্ব এক বৈঠক করেছেন বাইডেন। কোয়াড জোটের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নেতারা। শনিবারের ওই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল চীনের সম্ভাব্য হুমকি ব্যর্থ করে দেওয়া। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব ঠেকাতেই কোয়াড গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এমন দাবি নাকচ করে আসছে হোয়াইট হাউজ।
অস্বীকার করলেও কোয়াড যে চীনের ভূত তাড়াতেই গঠন করা হয়েছে, ওই বৈঠকে তা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। গোপন মিটিং হলেও বাইরে জড়ো হন সাংবাদিকরা। কেউ শুনছে না ভেবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ঘোষণা করেন, তাদের আলোচনার প্রথম টপিক চীন। তবে তাদের কথাবার্তা নিউজ ফিডে ধরা পড়ে। সেখানে বাইডেনকে বলতে শোনা যায়, চীনের সাম্প্রতিক আচরণে বোঝা যাচ্ছে, বেইজিংয়ের কাজের ধরন বদলেছে তবে কৌশল পাল্টায়নি।
দক্ষিণ চীন সাগরসহ তৎসংলগ্ন অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, মিত্র দেশ জাপানের আশপাশের জলসীমায় চীনের কর্মকাণ্ড ভালোভাবে নিচ্ছে না বাইডেন প্রশাসন। বৈঠকে সে কথাই উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডন্ট। তিনি বলেন, চীন এখনও দক্ষিণ চীন সাগর, পূর্ব চীন সাগর, দক্ষিণ চীন, দক্ষিণ এশিয়া ও তাইওয়ান প্রণালিতে আগ্রাসী আচরণ করে যাচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের প্রায় ১০০ মাইল দূরে বাইডেনের বাড়িতে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষমতা ছাড়ার আগে চার দেশের সম্পর্ক শেষবারের মতো ঝালিয়ে নিতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বাইডেন। আগামী বছর জানুয়ারিতে ক্ষমতার বাইরে চলে যাবেন বাইডেন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। তাই জোটের ধারাবাহিকতা যেন, পরবর্তী নেতৃত্বের মধ্যে বজায় থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছেন বাইডেন।
কোয়াডের দেশগুলোর মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে গতি হারাতে পারে এই জোট। তবে সেই শঙ্কা জোরালোভাবেই উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বাইডেন। এমনকি কোয়াড নেতাদের প্রকাশ্য বৈঠকের একটি ছবিতে দেখা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর নিজের হাত রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নভেম্বরের পরও পুরো দমে টিকে থাকবে কোয়াড এমনটাই বিশ্বাস বাইডেনের।
কোয়ড জোটের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নেতারা। ছবি : সংগৃহীত |
No comments