গাজীপুরে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ : এএসপিসহ আহত ১০

ছাত্রসংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দু’পক্ষের মারামারিতে সদর সার্কেলের এএসপি শাখাওয়াত হোসেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা অনিক সরকারসহ ১৩জনকে আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, আজ শনিবার দুপুরে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠান শেষে তিনি চলে যাবার প্রাক্কালে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী মন্ত্রীর গাড়ি আটকিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি করে শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় ছাত্রলীগের অপর অংশের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিক্ষুব্ধরা কলেজ ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের কার্যালয় এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এসময় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষে সদর সার্কেলের এএসপি শাখাওয়াত হোসেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সৌরভ, পুলিশ পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ছাত্রলীগ এক অংশ মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ সেখান থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা অনিক সরকারসহ কমপক্ষে ১৩জনকে আটক করে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জানান, মন্ত্রীর গাড়ি অবরুদ্ধ, মারামারি এবং ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশসহ আহতের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। মারামারির বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর জেরিনা সুলতানা জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্ররা কলেজ ক্যম্পাসে ভাঙচুর করেছে। তবে তিনি ক্যামেরার সামনে সাংবাদিকের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

No comments

Powered by Blogger.