চীনে দাড়ি-হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে দাড়ি রাখা ও হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির সরকার। স্থানীয় সময় শনিবার থেকে সরকার এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। খবর রয়টার্স, বিবিসির। চীনের পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় এক কোটি মুসলিম বসবাস করে। নতুন এই নিষেধাজ্ঞাকে চীন সরকার 'ইসলামী চরমপন্থা'র বিরুদ্ধে প্রচারণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এই আইনের আওতায় কোনো মুসলিম বড় দাড়ি রাখতে পারবে না। জনসমাগমস্থলে হিজাব পরা যাবে না। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেখার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানানো যাবে না। প্রদেশটিতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এসব নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে;
১. চরমপন্থী ধ্যান-ধারণার সমর্থন ও প্রচার করা যাবে না।
২. মুখ ঢেকে যায় এমন কোনো পোশাক পরা বা পরতে বাধ্য করা যাবে না।
৩. দাড়ি রাখা ও অস্বাভাবিক নাম রাখার মাধ্যমে ধর্মীয় গোঁড়ামি উসকে দেয়া যাবে না।
৪. রাষ্ট্রীয় শিক্ষা নিতে শিশুদের বাধা দেয়া বা হস্তক্ষেপ করা যাবে না।
৫. পরিবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দেয়া বা হস্তক্ষেপ করা যাবে না।
৬. চরমপন্থী বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন কোনো প্রবন্ধ, অডিও বা ভিডিও ডাউনলোড ও প্রকাশ করা যাবে না।
৭. রাজ্য সরকারের প্রচারিত রেডিও ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন পণ্য বা সেবা বর্জন করা।
৮. শুধুমাত্র নিজ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই বিয়ে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বী উইঘুর সম্প্রদায়ের বসবাস। গত এক বছরে প্রদেশটিতে প্রায় ১০০ জন মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই তাদের হত্যা করা হয় বলে জানায় চীন সরকার। তবে উইঘুর প্রদেশের মুসলিমরা মনে করেন, তারা রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের শিকার।

No comments

Powered by Blogger.