৫ দিনেই ফাটল : মেরামত করা হচ্ছে নবনির্মিত চিত্রা সেতু!

সংবাদ প্রকাশের পর মেরামত করা হচ্ছে নবনির্মিত চিত্রা সেতু। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার নয়া দিগন্তের অনলাইনে ‘পাঁচ দিনেই চিত্রা সেতুতে ফাটল!’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেরামত কাজ শুরু করে। এতে করে জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসলেও নির্মাণ কাজ নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, যানচলাচলসহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার পাঁচ দিনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফাটল সৃষ্টি হয় নবনির্মিত চিত্রা সেতুতে। পশ্চিম প্রান্তে সেতুর মূল পাটাতনে ফাটল দেখা দেয়। এর আগে গত ২৬ মার্চ যানচলাচলসহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় নড়াইলবাসীর স্বপ্নের চিত্রা সেতু। নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগে দ্বিতীয় চিত্রা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এদিকে, পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী চিত্রা সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ। তবে, এখনো তারিখ নির্ধারণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই শেখ রাসেলের নামে সেতুটির নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নড়াইল শহরের সাবেক ফেরিঘাট এলাকায় ২৮ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়েছে।
আগামী ৩০ এপ্রিল চিত্রা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২৬ মার্চ সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়। সেতুটি চালুর ফলে নড়াইল শহরের সাথে লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলাবাসী এবং প্রতিবেশি জেলা গোপালগঞ্জ ও যশোরসহ ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হলেও হঠাৎ করে ফাটল দেখা দেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ফাটল প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেলে এলজিইডি নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছায়েদ জানান, সেতুর উপরি ভাগের এ ফাটল তেমন কিছু নয়। এটি মূল ঢালাইয়ের ফাটল নয়। নির্মাণ শ্রমিকসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দাবি করে বলেন, উপরি ভাগে ফাটল দেখা গেলেও মূল ঢালাইয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে, নির্ধারিত সময়ের আগে ২৬ মার্চ যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত হয়েছে। সেতুর মূল দৈর্ঘ্য ১৪০ মিটার। এর বাইরে দুই পাশে ফ্লাইওভারের মতো দেখতে ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য ২৩৭ দশমিক ৫০ মিটার। সেতুর প্রস্থ ৫ দশমিক ৪৬ মিটার বা ১৮ ফুট। পানির স্তর থেকে সেতুর উচ্চতা ৭ মিটার। দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক আছে ৪৩১ মিটার। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমবিইএল-ইউডিসি (জেভি) সেতুটি নির্মাণ করেছে।

No comments

Powered by Blogger.