দলীয় কোন্দলের মূল্যায়ন করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেছেন, নির্বাচনের শতভাগ জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে প্রচার শুরু করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থেকেছি। জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছি। নির্বাচনে জনগণ যে রায় দিয়েছেন তা মেনে নিয়েছি। এ নির্বাচন নিয়ে আমার আর কোনো কথা নেই। ক্ষমতায় থাকার পরও দলীয় কোন্দলেই কি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এমন পরাজয়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, কারও নাম এখন বলব না। নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অসংখ্য নেতা কুমিল্লায় এসেছেন। তারা এ শহরে দীর্ঘদিন অবস্থানও করেছেন। তারা সব দেখেছেন, বুঝেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারাই এসব মূল্যায়ন করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, আমি ২০০০ সালে তৎকালীন কুমিল্লা পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হই। ২০১১ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা পৌরসভার কাউন্সিলর দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৩-০৫ সাল পর্যন্ত পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবেও কাজ করেছি। ২০০৯ সালে কুমিল্লা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।
সর্বশেষ ২০১২ সালে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। ওই নির্বাচনে কাউন্সিলরদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলাম। সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলাম। অর্থাৎ জনগণের ভোটে টানা ১৭ বছর জনপ্রতিনিধি ছিলাম। সুতরাং আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল করেনি। নেত্রী সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। এ মুহূর্তে আপনি জনপ্রতিনিধি নন, আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী- এমন প্রশ্নের জবাবে সীমা বলেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের মেয়ে। জনগণের জন্য আগেও কাজ করেছি। সামনের দিনগুলোতেও কাজ করব। তিনি বলেন, এখন প্রশাসনিক কোনো পদে না থাকায় আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করার অনেক সময় পাব। ওই সময়ে দলের জন্য কাজ করব। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোয় সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।

No comments

Powered by Blogger.