আপিলে ফারখুন্দা হত্যায় ফাঁসির দণ্ড মওকুফ

ফারখুন্দা মালিকজাদা
আফগানিস্তানের আপিল আদালত ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চারজনের সাজা মওকুফ করে দিয়েছেন। গত মার্চ মাসে পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ এনে ফারখুন্দা মালিকজাদা নামের ওই নারীকে একটি মাজারের সামনে হত্যা করে একদল লোক। তদন্তে ওই অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। খবর বিবিসির।
গত মে মাসে দেওয়া রায়ে চারজনকে ফাঁসি দেওয়ার পাশাপাশি আটজনকে ১৬ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই মাসেই হত্যার সময় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে ১১ পুলিশ সদস্যকেও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ফারখুন্দাকে পাথর ছুড়ে, তার বুকের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে এবং শেষমেশ গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে হত্যা করে উন্মত্ত লোকজন।
গত বুধবার আপিল আদালতের রুদ্ধদ্বার শুনানিতে চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বাতিল করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালতে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রায়ে ঘটনাস্থলের কাছের মাজারের তত্ত্বাবধায়ক ওমরানকে মুক্তি দেওয়া হয়। ওমরানের বিরুদ্ধে কারখানার বিরুদ্ধে লোকজনকে খেপিয়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে। ফারখুন্দার সঙ্গে তর্ক হয়েছিল তাঁর।
আপিল আদালতের রায়ের পর ফারুখুন্দার পরিবার এবং অধিকারকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফারখুন্দার ভাই নাজবুল্লাহ বলেন, ‘এটা কোনো আদালত নয়। সেখানে গণমাধ্যমের থাকা উচিত ছিল। সেখানে আমাদের এবং আইনজীবীদের থাকতে দেওয়া উচিত ছিল।’ নাজবুল্লাহ ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘এই রায় প্রকৃত অর্থে একটি নাটক। আফগানিস্তানের বিচারব্যবস্থা দেখে সারা বিশ্ব হাসবে।

No comments

Powered by Blogger.