হ্যাঁ জয়ী হলে যা হবে?

গ্রিসের ভাগ্য নির্ধারণের এ ভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে তা হবে মন্দের ভালো। হ্যাঁ জয়ী হওয়ার অর্থই হল ইইউয়ের বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে মোটা অংকের ওই ঋণ শোধ করতে হবে। এ ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এক্ষেত্রে ‘গ্রিসের ত্রাতা’র ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। ৩০ জুনে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঋণ সহায়তা আবার চালু হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঋণ প্রদানের মেয়াদ আগের চেয়ে আরও বাড়িয়ে দেবে ইসিবি। এত দর কষাকাষির পর আবার সেই পুরান ঠিকানাতে ফিরলে মোটেও ছেড়ে কথা বলবে না ইইউ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলে তার ওপর পুরস্কার বা তিরস্কার দুটোই করতে পারে ইউরোজোন। প্রথমত, যেসব প্রস্তাব এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি সেগুলো পুনর্বহাল করতে পারে। দ্বিতীয়ত, ধার পরিশোধের বেলায় ইউরোজোনের নেতাদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর খেসারত হিসেবে আরও কঠোর শর্ত আরোপ করতে পারে ইইউ।
‘না’ জয়ী হলে কি হবে?
এক্ষেত্রে ইসিবির ভূমিকা নাটকীয়, কেননা গ্রিসের পক্ষ থেকে আইএমএফকে (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) ১৬০ কোটি ইউরো পরিশোধ করবে ইসিবি। গ্রিসের ব্যাংগুলো যাতে অর্থনৈতিক সংকটে না পরে সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সহায়তা দেবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকায় ‘ঋণখেলাপি’ হওয়ার কারণে গ্রিসকে আর একটি টাকাও ধার দেবে না ইসিবি। এর নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে গ্রিসের ব্যাংকগুলোর ‘রিজার্ভ’ তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। আবার না ভোটের ফলে ইউরোজোনের প্রতিক্রিয়া কঠোর হলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা থাকবে না। এ অবস্থায় গ্রিসের ব্যাংগুলোর টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাই গ্রিস (IOUS) ইউরো সমমানের মুদ্রা বাজারে ছাড়াতে পারে। কিন্তু এর পরও তারল্যমান সংকটে পড়তে পারে গ্রিস। ফলে গ্রিসে থেকে যাওয়ার জন্য নতুন নির্বাচন অথবা বিরোধীদের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করতে হবে গ্রিসকে।

No comments

Powered by Blogger.