প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই চ্যালেঞ্জ শুরু প্রোটিয়াদের

বাংলাদেশ দলের বর্তমান ফর্ম ভাবিয়ে তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জেপি ডুমিনিকে। প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে তাদের। বাংলাদেশকে হারাতে হলে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে বলে জানালেন ডুমিনি। কাল মিরপুর স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়দিন অনুশীলনে নামার আগে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এই দলটি দারুণ আত্মবিশ্বাসী। এমন একটা স্কোয়াড ওরা গড়ে তুলেছে, যারা সব দলের বিপক্ষেই লড়াই করতে পারে। এই বিশ্বাসটা অবশ্য জয়ের সঙ্গেই আসে। যত জিতবে, তত আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোয় ওরা দারুণ সাফল্য পেয়েছে।’
মিডল-অর্ডার ব্যাটিংয়ের সঙ্গে অফ-স্পিনার হিসেবেও দলকে অনেক সময় টেনে তুলেছেন ডুমিনি। উপমহাদেশে স্পিন খেলাটা সব সময় চ্যালেঞ্জিং। ডুমিনি জানিয়ে দিলেন, তিনি স্পিন ভালো খেলেন। বলেন, ‘স্পিনের বিরুদ্ধে আমরা এই উপমহাদেশে খেলতে অনেক দিন ধরে কাজ করছি। এখানে বেশ কিছু দিন খেলে তা রপ্ত করেছি। স্পিনের বিরুদ্ধে গেম প্ল্যানটা জরুরি। আমরা এটা জানি। এখন সেই জ্ঞানটাই বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজে লাগাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে, এটা তাদের উন্নতির স্বাক্ষর। ঘরের মাঠে তারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। সবচেয়ে বড় কথা, লড়াই হবে সিরিজে।’ এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় হয়তো চিন্তা করতে হয়নি প্রোটিয়াদের। এখন হিসেবটা পাল্টে গেছে। বাংলাদেশের সিরিজ নিয়ে প্রোটিয়া শিবিরের ভাবনা সম্পর্কে ডুমিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার আগে থেকেই সিরিজ নিয়ে আমরা ভাবছি। জানি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হব। তবে আমরা তৈরি। কাল (আজ) একটি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে। যে হোমওয়ার্ক করেছি তা কাজে আসবে কিনা তা দেখার সুযোগ পাব।
প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই চ্যালেঞ্জ শুরু। এই ম্যাচ থেকেই আÍবিশ্বাস তুলে আমরা প্রথম টি ২০ ম্যাচে খেলতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘মাসখানেক আমাদের অনেকেই ক্রিকেটের মধ্যে ছিল না। এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রস্তুতি ম্যাচটি জরুরি। বল-ব্যাটের ছন্দ দুটি যোগ করা এসবই গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে থাকবে এ ম্যাচে।’ প্রোটিয়া দলের হয়ে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করে চলেছেন ডুমিনি। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খেলে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। যেমন, আইপিএলে বিভিন্ন ম্যাচে বোলিং করা একটি বড় অভিজ্ঞতা। পাওয়ার প্লেতে এবং ম্যাচের শেষ দিকের ওভারগুলোতে বল করার মধ্যে যে পার্থক্য, তা বুঝতে পেরেছি।’ বিশ্বকাপের কথা ভুলে এখন নতুন করেই শুরু করতে চায় প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে কীভাবে পরিকল্পনা করেছেন জানতে চাইলে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘টি ২০ ক্রিকেটে পেসার বা স্পিনার যে কোনো একজনই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশের ভালো স্পিন আক্রমণ রয়েছে। এখন আবার পেস আক্রমণের ওপরও বাংলাদেশ নির্ভর হচ্ছে। তাই সব ধরনের বোলারকেই বুঝে খেলা আমাদের উচিত হবে।’

No comments

Powered by Blogger.