তুরস্কে পৌঁছার পর ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছিল

বৃটেনে ফেরার পথে নিখোঁজ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পরিবারটির সদস্যদের পৈত্রিক বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও গ্রামে। নিখোঁজ পরিবারটি এই বাড়িতে থাকতেন এই গ্রামে তারা ছুটি কাটাতে এসেছিলেন গত ১১ এপ্রিল এবং সেখানে একমাস ছিলেন।১২ সদস্যের নিখোঁজ পরিবারটির কর্তা ৮২ বছর বয়স্ক আব্দুল মান্নান বহু বছর আগে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তার ছোট ভাই আব্দুল লতিফ এখনও পৈত্রিক নিবাসে থাকেন। সেখান থেকে  লতিফ টেলিফোনে বলছিলেন, বয়স্ক ভাইসহ পরিবারের ১২ জন সদস্যের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। লতিফ বলেছেন, তুরস্কে পৌঁছার পর তার ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ হয়েছিল এবং তখন তারা জানিয়েছিল, তারা দু’দিন ইস্তাম্বুলে থেকে লন্ডন যাবে।কিন্তু এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। তিনদিন পর লতিফ জানতে পারেন, তার ভাই ও পরিবারের সদস্যরা লন্ডন যায়নি। আব্দুল লতিফ আরও জানিয়েছেন, লন্ডনে না পৌঁছানোর খবর পেয়ে, তারা লন্ডনের পুলিশকে তা জানান। লন্ডনের পুলিশ তাদেরকে জানিয়েছে, ১২জন সদস্যের পরিবারটি তুরস্কের কোন ঠিকানা দেয়নি। সেখান থেকে তারা অন্য কোথাও চলে গেছে। এটুকুই তারা জানতে পেরেছেন। আব্দুল লতিফ উল্লেখ করেছেন, অনেক বছর আগে তার ভাই আব্দুল মান্নানের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী এবং এই সংসারের ছেলে মেয়ে নাতিসহ ১২ জনই নিখোঁজ হয়েছে। প্রথম ঘরের দুই ছেলে লন্ডনে থাকে এবং তারাই সেখানে পুলিশকে জানিয়েছিল। লতিফ বলেছেন, ছুটি কাটানোর সময় একমাসে তারা তার ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কোন অস্বাভাবিক আচরণ দেখেননি। তাদের কেউ জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত থাকতে পারে, এমন ধারণাও তারা পাননি। কমিউনিটি নেতা আশুক আহমেদ বলেছেন তিনি ওই পরিবারটিকে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে চেনেন। তবে তারা শুনেছিলেন, পরিবারটির বাংলাদেশে আসার আগে লন্ডনের কাছে লুটনে তাদের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল এবং হিথ্রো বিমানবন্দরে পরিবারটির একজন মেয়ে সদস্যকে পুলিশ জঙ্গি সংগঠনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। আব্দুল লতিফ আরও জানিয়েছেন, তার ভাই এবং অন্যরা যুক্তরাজ্যের নাগরিক হওয়ায় তারা লন্ডনের পুলিশকে জানিয়েছেন। বাংলাদেশের পুলিশকে কিছু জানাননি। এদিকে গ্রামটির ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেছেন,পরিবারটির গ্রামে ছুটি কাটানোর সময় তার সাথে দেখা হয়েছে এবং অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। এছাড়া পরিবারটির অন্য সদস্য যারা গ্রামেই থাকেন, তারা প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত বলেই তারা জানেন।– বিবিসি

No comments

Powered by Blogger.