ঈদের জামা পরা হলো না ফাহিমের

এবার ঈদে শার্ট-প্যান্ট কেনার বায়না ধরেছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ফাহিম। আবদার মেটাতে চা বিক্রেতা পিতার আগ্রহের কমতি ছিল না। ঈদের কেনাকাটা করতে মা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় এসেছিল ফাহিম। কিন্তু কেনাকাটা করার আগেই তার জীবন কেড়ে নিয়েছে ঘাতক বাস। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই বাসে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। এ ঘটনায় দুই বাসের চালককে আটক করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ট্রান্সসিলভা পরিবহনের বাস থেকে নামছিল ফাহিম। এ সময় পেছন থেকে ভিআইপি-২৭ নামের অপর একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় ফাহিম। এসময় বিক্ষুব্ধ লোকজন ওই দুই বাসের চালককে ধরে মারধর করে। সেইসঙ্গে ভিআইপি-২৭ নামের বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গাজীপুর থেকে আজিমপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ওই বাসে উঠেছিল ফাহিম। কিন্তু আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ওই বাসটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গাড়ি থেকে নামেন ফাহিমসহ অন্য যাত্রীরা। আজিমপুরে ওই শিশুর নানার বাড়ি। সেখান থেকে পরে ঈদের কেনাকাটা করার কথা ছিল তাদের।  নিহত ফাহিম গাজীপুরের পলপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। তার পিতার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি একজন চা বিক্রেতা। মায়ের নাম ঝরনা বেগম। তাদের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরের দমনী গ্রামে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, বাসটি আজিমপুরে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় দুই বাসের চালককে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে ফাহিমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

No comments

Powered by Blogger.