আঠারোর নিচে বিয়ে নয়: ইইউ, ইউনিসেফ

অনুষ্ঠানটি ছিল বিভিন্ন উন্নয়নকাজে শিশুদের চাওয়া-পাওয়ার বাস্তবায়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে একটি নির্দেশিকার উদ্বোধন। আয়োজক ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফ। গতকাল মঙ্গলবার গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বাল্যবিয়ে। ইইউ ও ইউনিসেফ বলেছে আঠারোর নিচে কিছুতেই বিয়ে হতে পারে না।
কিন্তু ‘শিশু অধিকার টুলকিট: উন্নয়ন সহযোগিতায় শিশু অধিকারের সমন্বয়’-এর এই প্রকাশ অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিয়ের বয়স নিয়ে একটি কথাও বলেননি। তাঁরই মন্ত্রণালয়ে নতুন বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের খসড়া যাচাই-বাছাই চলছে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে।
ইইউ ডেলিগেশন প্রধান এইচ ই পিয়েরে মায়াউডোন বলেন, ‘বিয়ের বয়স আঠারোই হতে হবে।’ ইউনিসেফের এ দেশীয় প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শিশুসনদ অনুযায়ী আঠারোর নিচে যেকোনো বিয়েই বাল্যবিয়ে। কোনো কারণেই আঠারোর নিচে বিয়ের অনুমোদন দেওয়া উচিত নয়। এটি প্রমাণিত যে অল্প বয়সে মা হলে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু হতে পারে, শিশু খর্বাকৃতির হয়। পুরো পরিবার আটকে যায় দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে।’
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সরকার মনে করে শিশুদের জন্য বিনিয়োগ করা মানে শুধু ভবিষ্যতের উন্নতি নয়, দেশের শক্তিশালী অবস্থানের জন্যও এটা জরুরি। সে কারণেই সরকার একটি আধুনিক বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন করতে যাচ্ছে। গত বছর একটি শিশু নীতি হয়েছে।’
আলোচকেরা বলেন, শুধু শিশু অধিকার রক্ষা হচ্ছে কি না, তা দেখলেই চলবে না, উন্নয়নকাজ হাতে নেওয়ার আগে শিশুদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
শিশু অধিকার টুলকিট: এই নির্দেশিকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে কী করে শিশু অধিকারের বিষয়গুলো আনা যায় ও বাস্তবায়ন করা যায় সে সম্পর্কে বলা আছে।

No comments

Powered by Blogger.