বরিশাল মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ইনস্টিটিউটে বিদ্যুতের অভাবে সেবা বন্ধ ১২ দিন

বিদ্যুৎ​, পানি না থাকায় বরিশাল নগরের কালীবাড়ি
রোডে অবস্থিত মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রটি ১২ দিন
ধরে ফাঁকা পড়ে আছে। -প্রথম আলো
১২ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই বরিশাল নগরের মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ইনস্টিটিউটে (এফডব্লিউভিটিআই)। এ কারণে বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যক্রম।
প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ট্রান্সফরমারটি বিকল হয়ে পড়ায় এ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেবা না পেয়ে মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের রোগীরা চলে গেছেন। পানির কষ্টে ভুগছেন প্রতিষ্ঠান দুটির আবাসিক বাসিন্দারা।
ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ গাজী সামসুল আলম জানান, গত ২৬ জুন ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়। কিন্তু ১২ দিনেও ট্রান্সফরমারটি মেরামত বা নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রশিক্ষণকেন্দ্রের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা গোবিন্দ লাল কুণ্ডু জানান, বিদ্যুৎ-পানি না থাকায় ভর্তি হওয়া রোগীরা চলে গেছেন। বহির্বিভাগেও তেমন রোগী নেই। কার্যত সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে।
ইনস্টিটিউটের মধ্যে ছাত্রাবাস, অধ্যক্ষের কক্ষসহ মোট ২০টি পরিবারের বসবাস। তারাও ১২ দিন ধরে বিদ্যুৎ ও পানির কষ্টে আছে। সবাই বাইর থেকে পানি এনে কোনোভাবে দৈনন্দিন কাজ সারছেন বলে জানান ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী মো. সোহরাব হোসেন।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের ২০টি শয্যা ফাঁকা পড়ে আছে। সেবিকা ও চিকিৎসকেরা গরমে হাঁসফাঁস করছেন। ওয়ার্ডের একটি বিছানায় শুয়ে আছেন একজন আয়া। কেউ কেউ বসে হাতপাখা নাড়ছেন। শৌচাগারে পানি নেই।
কেন্দ্রের সেবিকা তুলসী সেন বলেন, রোগী না থাকায় তাঁদের অলস সময় কাটাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ-পানি না থাকায় স্বাভাবিক কাজও বন্ধ রয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা বরিশালের উপপরিচালক মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ লাইন আলাদা থাকলে এ সমস্যা হতো না। পানি ও আলোর অভাবে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন না। বিষয়টি লিখিতভাবে মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী এফ এম মুরশীদ বলেন, ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত একটি ট্রান্সফরমার ছিল। সেটিও স্থাপনের পর নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে। জরুরি ফান্ড না থাকায় নতুন ট্রান্সফরমার কেনা সম্ভব হচ্ছে না। ট্রান্সফরমার মেরামতে কমপক্ষে ২০-২৫ দিন সময় প্রয়োজন। তারপরও দুই-এক দিনের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা করার প্রস্তুতি চলছে।

No comments

Powered by Blogger.