গ্রিস এখন ঋণখেলাপি

নির্ধারিত সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১৬০ কোটি ইউরো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে গ্রিস। তাই ঋণখেলাপির তালিকাভুক্ত হলো ইউরোপের এই দেশ। বিবিসি অনলাইনের খবরে আজ বুধবার এ কথা জানানো হয়।
আইএমএফের ঋণ পরিশোধ করার সময়সীমা যখন শেষের দিকে, তখন গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রিস সরকার আর্থিক পুনরুদ্ধারে (বেলআউট) নতুন চুক্তির অনুরোধ জানায়। নতুন চুক্তির ওই প্রস্তাবে গ্রিস নতুন করে দুই বছরের জন্য প্রায় তিন হাজার কোটি ইউরো সাহায্য চায়। তবে ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা গ্রিসের প্রস্তাবটি নাকচ করে দেন।
নির্ধারিত সময়ে আইএমএফের ১৬০ কোটি ইউরো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে গ্রিস। ঋণখেলাপির তালিকাভুক্ত ইউরোপের এই দেশটি এক সপ্তাহের জন্য ব্যাংকগুলো বন্ধ করে দিয়ে পুঁজি নিয়ন্ত্রণের পথ ধরেছে। ব্যাংকের সামনে অবসর-ভাতাধারী প্রবীণেরা হতাশ মুখে অপেক্ষায় আছেন। ছবি: রয়টার্স
গ্রিস হলো উন্নত বিশ্বের প্রথম কোনো দেশ, যারা আইএমএফের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলো। এতে গ্রিসকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্রিস যে নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে, তা নিশ্চিত করেছে আইএমএফ। আইএমএফের মুখপাত্র জেরি রাইস বলেন, ‘আমরা নির্বাহী পর্ষদকে জানিয়েছি যে গ্রিসের বকেয়া পড়েছে এবং বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত আইএমএফ নতুন করে দেশটিকে কোনো ঋণ দেবে না।’
ইউরোজোনে গ্রিসের বেল আউট প্রস্তাব নাকচ হওয়ায় ইউরো তহবিলের কোটি কোটি অর্থ পাওয়ার কোনো সুযোগ গ্রিসের আর থাকছে না।
উন্নত বিশ্বের প্রথম কোনো দেশ হিসেবে গ্রিস আইএমএফের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলো। এতে গ্রিসকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্যাংকের সামনে ভিড় জমিয়েছেন অবসর-ভাতাধারী প্রবীণেরা। ছবি: রয়টার্স
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) তার জরুরি সহায়তা আরও বাড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে গ্রিসকে তার ব্যাংকগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দিয়ে পুঁজি নিয়ন্ত্রণের পথ ধরতে হয়েছে।
বেইলআউট প্রস্তাবের ওপর আগামী রোববার গণভোট ডেকেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস। তিনি চান এথেন্সকে ইউরোতে রাখতে। কিন্তু এ জন্য দাতাদের দেওয়া শর্ত মেনে নিতে রাজি নন। তাই সিদ্ধান্তের বোঝাটা ঠেলে দিয়েছেন জনগণের দিকে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) গ্রিসে তার জরুরি সহায়তা আরও বাড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে গ্রিসকে তার ব্যাংকগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দিয়ে পুঁজি নিয়ন্ত্রণের পথ ধরতে হয়েছে। গ্রাহকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, ভিড় জমিয়েছেন ব্যাংকের সামনে। গ্রাহকদের বুঝাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ছবি: রয়টার্স

No comments

Powered by Blogger.