ছিটমহলে জনগণনার জন্য ৭৫টি যৌথ দল গঠন করা হয়েছে by পরিতোষ পাল

বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬২টি ছিটমহলে আগামী ৬ই জুলাই থেকে যে জনগণনা ও মতামত যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে সে জন্য ৭৫টি যৌথ সমীক্ষক দল গঠন করা হয়েছে। এই সমীক্ষক দলে দুই দেশের প্রতিনিধিরাই থাকবেন। ইতিমধ্যে গণনার বিষয়ে ছিটমহলের মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং, পোস্টার ও লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। ছিটমহল বিনিময় নিয়ে জোর প্রশাসনিক তৎপরতা চলছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহারে পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বিনিময় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন যাতে হয় সেজন্য গত মঙ্গলবার কোচবিহারে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জেলাশাসক পি উলগানাথান ছাড়াও কোচবিহারের বিধায়ক ও সাংসদরা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাংলাদেশে থাকা ছিটমহল থেকে যারা ভারতে আসতে চাইবেন তাদের ভারতে স্বাগত জানানোর সব রকম ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী পুনর্বাসন শিবির। ৩১শে জুলাই মধ্যরাতে বিনিময় সম্পূর্ণ হওয়ার পরে বাংলাদেশে ভারতীয় ছিটমহল থেকে আসা ইচ্ছুকদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নথিভুক্ত করে অস্থায়ী পুনর্বাসন শিবিরে রাখা হবে। অস্থায়ী শিবিরের জন্য দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ ও মাথাভাঙায় তিনটি জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ২০০ বর্গফুট জমিতে টিনের চালা দিয়ে বাড়ি তৈরি করে  দেয়া হবে। তবে দু’বছরের মধ্যেই এদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন দেয়ার জন্য আবাসন তৈরি করে জায়গা দেয়া হবে। অস্থায়ী পুনর্বাসনে যাতে কোন সমস্যা না হয় তা স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জেলাশাসক পি উলগানাথান জানিয়েছেন। তিনটি পথে ওপারে থাকা ইচ্ছুক ছিটমহলবাসীরা এপারে আসবেন তিনটি পথে। সেখানে তাদের টিকাকরণও করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপরও কঠোর ভাবে নজর রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে।

No comments

Powered by Blogger.