নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে, এএসআই পলাতক

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে নারী পুলিশকে তার সাবেক স্বামী এএসআই কালিমুর রহমানসহ দুইজন সহযোগী কর্র্তৃক গণধর্ষণের ঘটনায় ফরেনসিক প্রতিবেদনে আলামত পেয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস) কর্তৃপক্ষ। ওই প্রতিবেদনটি থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। গত ১০ই মার্চ খিলগাঁও থানাধীন সি-ব্লকের তিলপাপাড়ার ১৭ নম্বর রোডের ৮৬/৩, নম্বর বাড়ির নিচতলা বেডরুমে আটকে রেখে ওই মহিলার কনস্টেবলকে গণধর্ষণ করে তার সাবেক স্বামী এসপিবিএন-এ (স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রকেটশন ব্যাটালিয়ন) কর্মরত এএসআই কালিমুর রহমান ও তার দুই সহযোগী। ১১ই মার্চ ওই বাড়ি থেকে কৌশলে বের হয়ে আসেন ওই মহিলা কনস্টেবল। গত ১৩ই মার্চ দুপুরে ওই নারী কনস্টেবল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বোন এডভোকেট নাসরিন আক্তার মায়া বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ওসিসির প্রধান সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম জানান, ওই নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণের ঘটনায় ফরেনসিক প্রতিবেদনে আলামত পাওয়া গেছে। সেটি থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই নারী এখনও দুর্বল রয়েছেন। তাকে একাধিকবার কাউন্সিলিং করা হয়েছে। নির্যাতিতার বোন এডভোকেট নাসরিন আক্তার মায়া জানান, তার বোনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি থেকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তার বোন  হাঁটা চলা করতে পারছে না। অসংলগ্ন কথা বলছেন। তিনি আরও জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। গণধর্ষণের আগে তার বোনকে  চেতনানাশক ওষুধ সেবন করানো হয়েছিল। যার আলামত পুলিশ খিলগাঁওয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে। থানায় ইতিমধ্যে ১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও ৩ টি মামলা দায়েরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, তার বোনের একমাত্র মেয়ে মায়শা এএসআই কালিমুর রহমানের কাছে আছে। তিনি ওই মেয়েকে তার বোনের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশের প্রতি দাবি জানান। খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, নারী পুলিশকে ধর্ষণের ঘটনার ফরেনসিক প্রতিবেদনটি এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে আসেনি। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ওই পুলিশের এএসআই কালিমুর রহমানকে ধরার জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চলছে।
খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্যাতিতার বোন  বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় বাদী এসআই কালিমুর রহমান ও অজ্ঞাত চারজনকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এএসআই কালিমুর রহমান পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চলছে।

No comments

Powered by Blogger.