কাগজটি চেয়ে নেন মোদি

অনিশ্চয়তা ছিল। বৈঠক নিয়ে আলোচনাও ছিল বিস্তর। সাক্ষাৎ না বৈঠক এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। তবে গত ৭ই জুন শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকই করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকের দুটি পর্ব ছিল। প্রথম পর্বে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে তার দলের নেতারাও ছিলেন। আর দ্বিতীয় পর্বে একান্তে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি এবং বেগম খালেদা জিয়া। বৈঠকে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে এখনও নানা আলোচনা চলছে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করেছে সূত্র। যেসব পয়েন্টে কথা বলবেন তা একটি কাগজে লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। আলোচনার শেষদিকে নরেন্দ্র মোদি নিজেই কাগজটি চেয়ে নেন খালেদা জিয়ার কাছ থেকে। বৈঠকে বিএনপি নেতারা বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই দাবি করে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। এসময় নরেন্দ্র মোদি গণতন্ত্রের প্রতি ভারতের সমর্থন থাকার কথা জানান। তবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি। নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির অবস্থান নরেন্দ্র মোদির জানা আছে বলেও বৈঠকে তার পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয়। বৈঠকে জামায়াত প্রশ্নে সরাসরি কোন আলোচনা হয়নি বলে সূত্রের দাবি।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক নিয়ে এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে কৌতূহল রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফও একাধিকবার দাবি করেছেন ওই বৈঠকের বিষয়বস্তু প্রকাশের জন্য। ভারতের দ্যা সানডে গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারেও ওই বৈঠক নিয়ে কথা বলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার কাছে সাংবাদিক সৌরভ স্যানাল জানতে চেয়েছিলেন, বেগম জিয়া, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আপনার সাক্ষাৎ কেমন হলো? জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, বৈঠক অত্যন্ত সন্তোষজনক হয়েছে। মোদিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ ছিল চমৎকার। আমি অবশ্যই বলবো, খুবই আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। এতে আমি খুবই সন্তুষ্ট। খালেদা জিয়ার কাছে ভারতীয় এই সাংবাদিক জানতে চান, আপনাদের আলোচনায় মূল কি কি ইস্যু ছিল? জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, যেমনটি আমি বলেছি, বৈঠক হয়েছে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে এবং ফলপ্রসূ। আপনারা দেখেছেন বৈঠকটি ছিল ওয়ান-টু-ওয়ান। আমরা যেসব বিষয়ে আলোচনা করেছি বাস্তবেই সবটা বলতে পারছি না। তবে এটা বলতে পারি যে, অবশ্যই বৈঠক হয়েছে সন্তোষজনক।

No comments

Powered by Blogger.