অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান ছিলেন খাঁটি বাঙ্গালী ও বড় মাপের শিক্ষাবিদ -মৃত্যু বার্ষিকীতে ভূমিপ্রতিমন্ত্রী

খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, বুদ্ধিজীবি, রম্য লেখক ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের প্রাক্তন উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খানের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান স্মরণ সভা কমিটি ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে ১৫ নভেম্বর বিকালে চকবাজার মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমিপ্রতিমন্ত্রী জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান ছিলেন খাঁটি মাপের বড় বাঙ্গালী এবং বড় মাপের শিক্ষাবিদ। প্রান্তিক জনপদ এলাকার অবহেলিত, শিক্ষা বঞ্চিত জনগণকে শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত জীবন দানের জন্য তিনি কাজ করেছেন আজীবন। আনোয়ারা কলেজ সহ চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম পাশ্ববর্তী ও ঢাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর অবদান অপরিসীম। মূলত শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি আলোর পথযাত্রী ও শিক্ষার ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করেছেন। জীবনে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান অর্থবিত্তির মালিক হতে চাইলে চট্টগ্রাম শহরে গাড়ি বাড়ি ও অনেক কিছু করতে পারতেন। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান সেই পথকে প্রচন্ড ঘৃনা করে অশিক্ষিত জাতিকে শিক্ষার পথে আনার জন্য কাজ করেছেন। শিক্ষাবিদ হিসেবে তিনি যেমন সফল তেমনি লেখক গবেষক হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেছেন। তাঁর লেখা-লেখির মাধ্যমে জাতিকে দুঃসময়ে সঠিক পথে চলতে আলো দিয়েছিলেন। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান ব্যাক্তিগত জীবনে আমার খুব কাছের ও প্রিয় লোক ছিলেন। ছিলেন আমার বাবা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর আপনজন ছিলেন। আমাদের পারিবারিক ট্রাষ্টের তিনি একজন সদস্য হিসেবে সব সময় আমার বাবাকে সাহস ও পরামর্শ দিয়েছেন। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান চট্টগ্রামের শিক্ষা বিস্তারে অবদানের জন্য কালজয়ী মনিষী হিসেবে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী আনোয়ারা কলেজ সম্মুখে একটি সড়কের নাম অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন এর নামে নামকরণের ঘোষনা দিয়ে তাঁর জীবনী গ্রন্থ প্রকাশের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান স্মরণ সভা কমিটির সভাপতি শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ সানাউল্লাহ এর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণা সম্পাদক জননেতা মফিজুর রহমান। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. জিন বোধি ভিক্ষু, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট মেম্বার ড. অধ্যক্ষ রেজাউল কবির চৌধুরী,  চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ মোরশেদ হোসেন, সিটিকর্পোরেশনের প্রাক্তন কমিশনার শহিদুল আলম, সূফি গবেষক এস.এম সিরাজউদ্দৌলা, চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা আবদুর রহিম, বি.এড কলেজের অধ্যাপক শামসুদ্দিন শিশির, রাজনীতিবিদ এম.এ সাত্তার, লেখিকা দীপালী ভট্টচার্য্য, খ্যাতিমান আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবা খানম, কবি মাহবুব শাহ, প্রণব রাজ বড়–য়া, জসিমুল হক চৌধুরী, ডা. বরুণ কুমার আচার্য্য বলাই, মুক্তিযোদ্ধা অমর দত্ত, প্রবন্ধিক সিদ্দিকুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য বোরহান উদ্দিন গিফারী, ডা. আরকে রুবেল, যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন মিঠু, ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ওচমান জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক সঞ্চয়ন দে, ইমরান হোসেন সোহেল, সিহাব ইকবাল, রেজাউল করিম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসেন, হেলাল উদ্দিন টিপু, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, শুল্লব দত্ত, ডা. শওকত জাহান রুম্মান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক দিদারুল আলম, মহিউদ্দিন আহমদ, কেশব কান্তি পাল, লিটন বড়–য়া, সভায় মরহুম অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান এর বড় ছেলে আশরাফ হোসেন খান সুজন কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। শোক সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলোওয়াত মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.