চীনের মুক্ত বাণিজ্য রোডম্যাপে এশীয় নেতাদের সমর্থন

চীনের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য রোডম্যাপে সমর্থন জানিয়েছেন এশীয় অঞ্চলের নেতারা। বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ২১ দেশের অর্থনৈতিক জোটের (অ্যাপেক) শীর্ষ সম্মেলনে এ ব্যাপারে একমত হন তারা। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপেক সম্মেলনে চীন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় মুক্ত বাণিজ্য এলাকার (এফটিএএপি) প্রস্তাব করেন। এতে সম্মতি দেন এশীয় অঞ্চলের নেতারা। চীনকে কেন্দ্র করে এ মুক্ত বাণিজ্য এলাকা প্রতিষ্ঠায় বিস্তারিত গবেষণা করার পক্ষে মত দেন তারা। আগামী দুবছরের মধ্যে এ ব্যাপারে গভীর অধ্যয়ন ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হবে। জিনপিং বলেন, এটা অবশ্যই একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। অ্যাপেক সদস্যদের আত্মবিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি আঞ্চলিক অর্থনীতিকে সুসংহত করবে।এশীয় অঞ্চলের নেতারা এফটিএএপি বাস্তবায়নের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন। এটিই হচ্ছে সামনে এগুনোর অফিসিয়াল পদক্ষেপ।এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, জাপান ও চীন আমরা পরস্পরের মুখাপেক্ষী। আমরা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও বিশ্ব শান্তির জন্য দুই দেশের সমান দায়িত্ব রয়েছে।এর আগে শি জিনপিং বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নানা ধরনের অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য এ অঞ্চলে মুক্ত বাণিজ্য প্রতিষ্ঠার কথা সবার ভেবে দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে।যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে চীন ও রাশিয়াকে বাইরে রেখে ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এশিয়ায় চীনের উত্থানে এ অঞ্চলে মার্কিন প্রভাব বৃদ্ধি করতে এই আন্তঃপ্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশীদারিত্বমূলক মুক্ত বাণিজ্য ধারণার বাস্তবায়ন করতে ওয়াশিংটন। এতে থাকছে জাপান অস্ট্রেলিয়াসহ ১২টি দেশ। টিপিপি বাস্তবায়নে ওয়াশিংটন বছরের পর বছর ধরে চাপ দিয়ে এলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনকে এর বাইরে রেখেছে। কিন্তু জাপানসহ কিছু সদস্য দেশ নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার উš§ুক্ত করে দেয়ার বিরোধিতা করায় বিভিন্ন সময় এ নিয়ে অগ্রগতি আটকে গেছে।

No comments

Powered by Blogger.