‘ত্রাণমন্ত্রীর কাছে কোনো তদবির নিয়ে যায়নি যুবলীগ নেতারা’ -মায়া

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, যুবলীগের সঙ্গে আমার সর্ম্পক খুবই ভালো। আমার মন্ত্রিত্বের ১০ মাস চলছে কিন্তু যুবলীগ কোনো দিন কোনো তদবির নিয়ে যায়নি। যেখানে আমার কাছে যাই নাই সেখানে অন্যমন্ত্রীদের কাছে যাওয়ার তো কোনো প্রশ্নই উঠে না।”   মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তন, কাকরাইলে যুবলীগের এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন। ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করার লক্ষে এ প্রতিনিধি সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর যুবলীগ (দক্ষিণ)। ১৫ নভেম্বরের যুবলীগের ওই সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা হবে না বলে আশা প্রকাশ করে মায়া বলেন, “আমি মনে করে যুবলীগের সমাবেশ সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ হবে। যিনি আগে সমাবেশে আসবেন, তিনি মঞ্চের সামনেই বসবেন। পরে এসে শেখ হাসিনা ও যুবলীগ চেয়ারম্যানকে দেখানোর জন্য অন্যের গায়ের উপর দিয়ে গিয়ে মঞ্চের সামনে বসতে গিয়ে বেয়াদবির জন্য দুই গ্রুফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ধরণের ঘটনা আপনাদের সমাবেশ ঘটবে না বলে আমি আশা করি। প্রসঙ্গত, গতকাল বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে এক প্রতিবাদ সমাবশে মঞ্চের সামনে বসা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি এমন কথা বলেন। মায়া বলেন, “১৫ নভেম্বর ঢাকা হবে যুবলীগের ঢাকা। প্রতিটি জেলা, থানা, মহল্লা ও ঘর থেকে যুবলীগকে উপস্থিত হতে হবে সেই দিনের জনসভায়।” মন্ত্রী বলেন, “যুবলীগ একটি সমাবেশ করার জন্য মাসব্যাপী প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটা খুব ভালো দিক। এ কাজটা যুবলীগের কাছ থেকে সব দলের শিক্ষার আছে। আমরা মহানগরের সমাবেশের জন্য এক-দুটি বর্ধিত সমাবেশ করে ক্লান্ত হয়ে যায়। আর সেখানে যুবলীগ ১ মাসব্যাপী প্রস্তুতি সমাবেশ করছে। এখান থেকে সব দলের শিক্ষা নিতে হবে।”   যার শেষ ভালো তার সব ভালো যুবলীগকে এ প্রবাদটি মনে রাখতে হবে উল্লেখ করে মায়া বলেন, “এ মাসের প্রস্তুতি সমাবেশ সফল হবে ১৫ নভেম্বরেই। ওই দিনের সমাবেশই যুবলীগের এক মাসের প্রস্তুতির ফসল দেখা যাবে মাঠে।” ওই বর্ধিত সভা উদ্বোধন শেষে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, “বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বৃটিশ পুলিশ খুঁজছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষ করার দায়ে তাকে অবিলম্বে আইনের মুখোমুখি করা হবে।” এসময় তিনি আন্দোলন করতে হলে তারেককে দেশে আসারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “আন্দোলন করতে হলে দেশে আসতে হবে।” ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, উপ প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.