শিগগিরই সরকারের পতন ঘটবে

খুব শিগগিরই সরকারের পতন হবে জানিয়ে নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, এবার আন্দোলনে আমি আপনাদের সঙ্গে সামনে থাকব। এক কাতারে চলি। দেখি কিভাবে পুলিশ গুলি করে? এবার গুলি করে গদি রক্ষা হবে না। শনিবার কুমিল্লার জেলা টাউন হল মাঠে ২০ দলীয় জোটের জনসভায় তিনি একথা বলেন। বিএনপি প্রধান বলেন, সরকার ভেবেছে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বন্দি করে তারা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারবে। তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, খুব শিগগিরই তাদের পতন ঘটবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন, গুম-খুন-গুপ্ত হত্যা-দুর্নীতি, বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই জনসভার আয়োজন করা হয়। ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর ঢাকার বাইরে এটি খালেদা জিয়ার নবম জনসভা। সর্বশেষ ১২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগকে বর্জন করি। কারণ দেশে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। চলছে এক ব্যক্তির শাসন ও শোষণ। তিনি এখন খুনিদের দ্বারা বেষ্টিত। সরকার বিদেশীদের আকৃষ্ট করতে দাড়ি-টুপি পরিহিত লোকদের জঙ্গি সাজিয়ে নাটক করছে।
আওয়ামী লীগের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, জনপ্রিয়তা থাকলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। কিন্তু দেবে না। কারণ, তারা জানে ক্ষমতা ছাড়লে জনগণ তাদের পিষে ফেলবে। তাই তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেত্রী। তিনি বলেন, ‘এইচটি ইমাম, হাসিনাদের ইমাম। তিনি সব জারিজুরি ফাঁস করে দিয়েছেন। কীভাবে ভোট কেন্দ্রে লোক নিয়োগ করা হয়েছে, কীভাবে ব্যালট বাক্স ভরেছে, সব ফাঁস করে দিয়েছেন।’
এইচটি ইমামের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, পাকিস্তান আমলে দুর্নীতির কারণে তার চাকরি গিয়েছিল। তিনি মোশতাক সরকারের শপথ অুনষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন। হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে এই ইমামই সব কুবুদ্ধি দিয়ে থাকেন। এই ইমামকে নিয়ে ইমামতি করলে সেটা হালাল হবে না। এই ইমামের পেছনে না থাকলেই তাদের ভালো হবে। এইচটি ইমাম এত বড় সত্য কথা বলার পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্যে সরকারের ‘দুর্নীতি-অপশাসন’, বিরোধী দল দমন, আগামী আন্দোলন, সরকারের বিদেশ স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা, মামলা, আইনশৃংখলার অবনতি, বিনিয়োগের মন্দাভাব, প্রশাসন, বিচার বিভাগ নিয়ে কথা বলেন। এছাড়া ২০ দল ক্ষমতায় গেলে কী করবে তাও তুলে ধরেন।
খালেদা জিয়া গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ১/১১-এর সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে ৮ হাজার মামলা একে একে সরকার তুলে নিয়েছে। শেখ হাসিনার নামে ১৫টি মামলা ছিল, তাও তুলে নেয়া হয়েছে। ওইসব মামলার মধ্যে মিগ-২৯ জালিয়াতি মামলা ও পুরনো ফ্রিগেট কেনার মামলা রয়েছে। ওইসব মামলার বিচার হলে হাসিনার সাজা হতো। তিনি বলেন, ‘আমি হাসিনার কাছে জানতে চাই, ওইসব মামলা কেন উঠিয়ে নিলে? আপনি নিরপেক্ষ আদালতের মাধ্যমে মোকাবেলা করতেন, দেখতাম, কত সাহস! সেজন্যই তো মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের পায়ে ধরেছিলেন। তারা আমার কাছেও এসেছিল, আমি তাদের ডাকে সাড়া দিইনি।’
খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি-অপশাসনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এরা দেশের অর্থনীতিকে স্থবির করে ফেলেছে। যদু-মধুদের নিয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদ গঠন করে ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে। এ সময় যুগান্তরে প্রকাশিত কয়েকটি রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দেশে বিনিয়োগে বাধা, ব্যাংকের চড়া সুদ, শিল্প-কারখানা তৈরি হচ্ছে না। কোনো উন্নয়ন নেই।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বর্জন করুন। নতুন করে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। এই পরিবর্তন হবে যুব-যুবতীদের কর্মসংস্থান, দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের। বিএনপি চেয়ারপারসন আবারও র‌্যাব বিলুপ্ত করার দাবি জানান। পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার জন্য তিনি আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন।
দশম সংসদকে অবৈধ অভিহিত করে খালেদা জিয়া বলেন, এরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন কেমন হয়েছে। শফিউল আলম প্রধান বলেছেন তা। তার ভাষায় এটি কুত্তা মার্কা নির্বাচন হয়েছে। এ রকম একটি সংসদে কোনো আইন পাসের অধিকার নেই। জোর করে আইন পাস করলে তা টিকবে না। খালেদা জিয়া বলেন. বিদেশীদের আকৃষ্ট করতেই সরকার জঙ্গি সাজিয়ে নাটক করছে। দাড়ি-টুপি দেখলে তাদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে নাজেহাল করছে। কিন্তু ওইসব দাড়ি-টুপি মানুষজন ধর্মের কথা বলে, ইসলাম ইমানের কথা প্রচার করে। তারা কোনোভাবে জঙ্গি নয়। খালেদা জিয়া বলেন, খুনিরা এক হয়েছে। খুনের রাজত্ব চলছে। এরশাদ এই সরকারের সঙ্গে। ডা. মিলনকে হত্যা করেছে। নুর হোসেন, জয়নাল, দি পালী সাহা কাদের গুলিতে জীবন দিয়েছে। হাসিনা আজ সব খুনি নিয়ে বসবাস করছে।
আওয়ামী লীগে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই দাবি করে তিনি বলেন, তারা হল সীমান্ত পাড়ি দেয়া মুক্তিযোদ্ধা। আর বিএনপিতে আছে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমানের প্রথম কর্মস্থলের স্মৃতিচারণ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘কুমিল্লায় এসে আমার ভালো লাগছে। কেন জানেন? স্বাধীনতার পরে এখানে আমার স্বামীর প্রথম পোস্টিং হয়েছিল। এজন্য কুমিল্লার মানুষের সঙ্গে আমার এক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যখনই আমি কুমিল্লায় আসি, মনটা আমার ভরে যায়। আমাকে যে সম্মান আপনারা দিয়েছেন, সেজন্য আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
জনসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মুক্তি এবং ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মো. মোফাজ্জল হোসেইন কায়কোবাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান খালেদা জিয়া। সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন। কুমিল্লার ১৬টি উপজেলা থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে জনসভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। জেলার পাঁচটি স্থানে বড় পর্দার টিভি বসিয়ে বক্তব্য সম্প্রচার করা হয়। এছাড়া চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা এতে যোগ দেয়। তাদের অনেকের হাতে ধানের শীষ প্রতীক, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বড় বড় প্রতিকৃতী, পোস্টার ও ফেস্টুন ছিল। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিলে ব্যান্ড সঙ্গীত দলের উপস্থিতি দেখা গেছে। জনসভা উপলক্ষে দুই শতাধিক মাইক লাগানো হয়। শহরজুড়ে নির্মাণ করা হয় কয়েকশ’ তোরণ।
সকালের দিকে মঞ্চের সামনে অবস্থান নেয় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। পুরো মাঠেই তাদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের মুক্তিসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন ছিল তাদের হাতে। ঢাকা থেকে কুমিল্লা আসার পথে দাউদকান্দি, ইলিয়টগঞ্জ, গৌরীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় সড়কের পাশে ৩০/৪০টি স্বাগত তোরণ ভাংচুর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক ডিজিটাল ব্যানার, পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আগের রাতে দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় ২০ দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন- আমিন-উর রশীদ ইয়াছিন, খোরশেদ আলম, মনিরুল হক সাক্কু, মোস্তাক মিয়া, আনোয়ারুল আজীম, জাকারিয়া তাহের সুমন, আবুল কালাম আজাদ ও ড. খন্দাকার মারুফ হোসেন। জনসভা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন কিছুক্ষণ সার্কিট হাউসে অবস্থান করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই : খালেদা জিয়ার জনসভায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল। সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠসহ মহানগরীর অলিগলি কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। দুপুরের আগেই মহানগরীতে নেমে আসে জনতার স্রোত। এছাড়াও মাঠের আশপাশের উঁচু ভবনের ছাদ, বিভিন্ন মার্কেট ও বাড়ি-ঘরের বারান্দায়ও হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বেলা ২টায় খালেদা জিয়া কুমিল্লায় পৌঁছেন। এ সময় রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে ২০ দলের নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। কুমিল্লা সার্কিট হাউসে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিয়ে ৩টা ৬ মিনিটে জনসভা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন তিনি। কুমিল্লার তিতাস, হোমনা, বুড়িচং, দাউদকান্দি, মুরাদনগর, মেঘনাসহ আশপাশের উপজেলার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং ফেনী থেকেও নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দলে দলে জনসভায় যোগ দেন। মহানগর এ সময় মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। শহরজুড়ে প্রায় ২৫৭টি মাইক লাগানো হয়েছিল।
মাঠ দখলে জামায়াত-শিবির : জনসভা শুরুর প্রায় ৮ ঘণ্টা আগেই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা মাঠের পূর্ব পাশে অবস্থান নেয়। তারা তাদের কেন্দ্রীয় নেতা ও যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিসংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে। জনসভা শুরু হতেই মঞ্চের দৃষ্টি আকর্শন করতে নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকে। রংবেরঙের তোরণের নগরী : মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক ও প্রবেশ পথে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে শুরু করে কুমিল্লা মহানগরীর টাউন হল মাঠ পর্যন্ত প্রায় ৫২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৫ শতাধিক রংবেরঙের তোরণ নির্মাণ করেছিল নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া মহানগরী ও তার আশপাশের এলাকাজুড়ে অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়েছিল। এসবে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবির পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীদের ছবি শোভা পায়।
এলইডি টিভির মাধ্যমে বক্তব্য প্রচার : খালেদা জিয়ার বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের জন্য নগরীর মোড়ে মোড়ে ১০টি স্থানে স্থাপন করা হয় ৭০ ইঞ্চি এলইডি টিভি মনিটর। এসব এলইডি টিভির সামনে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। মহানগরীর টমছম ব্রিজ, সালাউদ্দি মোড়, নজরুল এভিনিউসংলগ্ন কর ভবনের সামনে, শাসনগাছা, ঝাউতলা, ফৌজদারি মোড়, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মোড়, মনোহরপুর, ছাতিপট্টি ও চকবাজার এলাকায় এসব মনিটর স্থাপন করা হয়েছিল।
পথে পথে শুভেচ্ছা : কুমিল্লা যাওয়ার পথে বিভিন্ন এলাকায় খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। কনকনে শীত ও তীব্র কুয়াশা উপেক্ষা করে পথে পথে হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন ও ফুল নিয়ে অপেক্ষা করেন। যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
মুন্সীগঞ্জ : বেলা সোয়া ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অতিক্রম করে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর। তাকে শুভেচ্ছা জানাতে সাবেক উপমন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে অন্তত ৫ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বাউশিয়া পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) : দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও মেঘনা শিল্পনগরী এলাকায় নেতাকর্মীরা ব্যাপক শোডাউন করে। বিএনপি নেতা অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আজিজুল হক আজিজের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানায়।
দাউদকান্দি : দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী টোল প্লাজা ও গৌরীপুর বাস স্ট্যান্ডে দাউদকান্দি, মেঘনা, হোমনা ও তিতাস উপজেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী বাহারি রঙ্গের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছ জানায়। এ সময় বিএনপি নেতা শাহজাহান চৌধুরী, ভিপি আবদুস ছাত্তার, এমএ সাত্তার, একেএম শামছুল হক, আবুল হাশেম চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ : দুপুর সাড়ে ১১টায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি বহর নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা হয়ে শিমরাইল মোড় দিয়ে কাঁচপুর এলাকা অতিক্রম করে। এ সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, বিএনপি নেতা আবদুল হাই রাজু প্রমুখের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাকে শুভেচ্ছা জানান। বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) : বন্দরের মদনপুর ও লাঙ্গলবন্দ এলাকায় ব্যাপক শোডাউন করে বন্দর থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল, আবদুস সোবহান, আজহার হোসেন বুলবুল, হান্নান সরকার, কামরুজ্জামান বাবুল, সুলতান আহমেদ ভূইয়া, আবুল কাওসার আশার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.