পদত্যাগ করে নির্বাচন দিচ্ছেন লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী

দেশের গোয়েন্দা বাহিনীর এক কেলেঙ্কারির জেরে পদত্যাগ করছেন লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জঁ-ক্লদ ইয়ুংকার। ইউরোপের দীর্ঘতম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা সরকারপ্রধান ইয়ুংকারের গতকাল বৃহস্পতিবারই পদত্যাগ করার কথা। এ কারণে পশ্চিম ইউরোপের ক্ষুদ্র কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জোটে জঁ-ক্লদ জাংকারের কনিষ্ঠ সহযোগী পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানানোর প্রেক্ষাপটে তিনি এ ঘোষণা দিলেন। প্রধানমন্ত্রী ইয়ুংকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, তিনি গোয়েন্দা সংস্থার ফোনে আড়িপাতা ও দুর্নীতির মতো অনিয়ম বন্ধে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ২০০৫ থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ইউরোজোন দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের সংগঠনের প্রধান ছিলেন। ইয়ুংকার বুধবার বলেন, ‘আমি আগামীকাল সকালে সরকারের সবাইকে বৈঠকে ডাকব এবং গ্র্যান্ড ডিউককে আগাম নির্বাচনের পরামর্শ দিতে প্রাসাদে যাব।’ লুক্সেমবার্গের পার্লামেন্ট সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছে। এতে দেশের নিরাপত্তা সংস্থা এসআরইএলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ সংস্থাটির দায়িত্বে থাকেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিজে। এর মধ্যে আছে বেআইনিভাবে রাজনৈতিক নেতাদের ফোনে আড়িপাতা, ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য গাড়ি কেনা এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছে তদবিরের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ঘুষ গ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী ইয়ুংকার বলেছেন তিনি কোনো অন্যায় করেননি। তবে তিনি সরকারের চেয়ে ইউরোজোনের দায়িত্বে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন বলেও সমালোচনা হয়েছে। পার্লামেন্টে দুই ঘণ্টার দীর্ঘ ভাষণে ইয়ুংকার বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা আমার শীর্ষ অগ্রাধিকার নয়। আশা করি, লুক্সেমবার্গে কখনোই এমন প্রধানমন্ত্রী আসবেন না যিনি গোয়েন্দা সংস্থা এসআরইএলকে শীর্ষ অগ্রাধিকার দেবেন।’ বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.